Join Telegram Join Facebook বাংলা রচনা
সাহিত্যের ইতিহাস সাজেশান Question-Paper
WBCS স্কুল নোটস ইতিহাস

বহুরূপী গল্প | সুবোধ ঘোষ | 15টি ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্ন উত্তর [মান ৩] pdf

সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের ব্যাখ্যাধর্মী 15টি প্রশ্নের নমুনা উত্তর pdf

দশম শ্রেনীর অন্যতম একটি গল্প 'বহুরূপী'। সুবোধ ঘোষের লেখা গল্পটি অনন্য। হরিদা বহুরূপী পেশা গ্রহণ করেও তার পেশার চরিত্রের অবমাননা তিনি করেননি। আলোচ্য গল্প থেকে কিছু প্রশ্নের নমুনা উত্তর উল্লেখ করা হল।

এই পোস্টে ১৫টি প্রশ্নের নমুনা উত্তর দেওয়া হলো। নিচের পয়েন্ট সবকটি প্রশ্ন উল্লিখিত হয়েছে, যাতে ক্লিক করলে সেই উত্তরে যাওয়া যাবে।




(ads1)


প্রশ্নসমুহ(toc)






[প্রশ্নমান – ৩]



[১] ‘হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম’ – হরিদা কে? তার কাছে বক্তা কী গল্প করেছিল?


[] সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পের মুখ্য চরিত্র হলেন হরিদা ৷ তিনি পেশায় একজন বহুরূপী।

[] বক্তা অর্থাৎ গল্পের কথক ও তার বন্ধুরা পাড়ার ধনী ব্যক্তি জগদীশবাবুর গৃহে হিমালয় থেকে আসা এক সন্ন্যাসীর আশ্রয় গ্রহণের ঘটনা হরিদার কাছে গল্প করেন। সন্ন্যাসী হলেও তিনি জগদীশবাবুর কাছ থেকে সোনার বোল লাগানো কাঠের খড়ম ও একশো টাকা দক্ষিণা গ্রহণ করেছিলেন। এখানে সেই গল্পের কথাই বলা হয়েছে।



[২] ‘খুব উঁচু দরের সন্ন্যাসী'—সন্ন্যাসীর পরিচয় দাও।


[] ছোটোগল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে পাড়ার ধনী ব্যক্তি জগদীশবাবুর গৃহে একজন সন্ন্যাসীর আগমনের কথা শোনা যায়।

[] সন্ন্যাসী সাতদিন ধরে জগদীশবাবুর গৃহে অবস্থান করেছিলেন। তিনি নাকি হিমালয়ের গুহাতে থাকেন। সারা বছরে তাঁর খাদ্য শুধু একটি হরীতকী। এমনকি তাঁর বয়সও নাকি হাজার বছরেরও বেশি। জগদীশবাবু ছাড়া আর কাউকে সন্ন্যাসী পদধূলি পর্যন্ত দেননি।

তবে বিদায় নেবার সময় কিন্তু সন্ন্যাসী মুচকি হেসে জগদীশবাবুর এগিয়ে দেওয়া সোনার বোল লাগানো কাঠের খড়ম এবং একশো টাকার নোটটি গ্রহণ করতে ভোলেননি। এই ঘটনা থেকেই তথাকথিত 'উঁচু দরের সন্ন্যাসী’-র প্রকৃত স্বরূপটি ফুটে ওঠে।



[৩] ‘বাঃ এ তো বেশ মজার ব্যাপার।—কোন্ ঘটনাকে মজার ব্যাপার বলা হয়েছে? ঘটনাটি মজার কেন?


[] ‘বহুরূপী’ গল্প অনুসারে জগদীশবাবুর গৃহে হিমালয় থেকে যে সন্ন্যাসী এসেছিলেন, তিনি এতই উঁচু দরের যে, কাউকে পদধূলি গ্রহণের অনুমতি পর্যন্ত দিতেন না। শেষপর্যন্ত জগদীশবাবু তাঁর কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে পায়ের সামনে ধরলে সন্ন্যাসী পা এগিয়ে দিয়েছিলেন। এভাবে একমাত্র অগদীশবাবুই তাঁর পদধূলি পেতে সক্ষম হয়েছিলেন।

[] মুখ্য চরিত্র হরিদার মতে ঘটনাটি মজার। কারণ, সর্বত্যাগী হিমালয়বাসী সন্ন্যাসীও যে সোনার আকর্ষণ অগ্রাহ্য করতে পারেননি তা স্পষ্ট। এমনকি এই সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর কাছ থেকে একশো টাকার প্রণামীও নিয়েছিলেন। সন্ন্যাসীর এই আচরণই হরিদার হাসির কারণ।



[৪] ‘হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে’—জীবনে নাটকীয় বৈচিত্র্য বলতে কী বোঝো? হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যটি কী?


[] ‘নাটকীয়’ শব্দটির অর্থ হল যা নাটকের মতো, অর্থাৎ বাস্তব জীবনে দুর্লভ। সেই দুর্লভ বৈচিত্র্যই হরিদা তাঁর জীবনে লাভ করেছিলেন। দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে মানুষের জীবনে কোনো নাটকীয়তা থাকা একান্ত প্রয়োজন। এখানে সেই ব্যতিক্রমকেই নাটকীয় বৈচিত্র্য বলা হয়েছে।

[] হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য ছিল তাঁর বৃত্তি অর্থাৎ বহুরূপী সেজে মানুষকে চমকে দেওয়ার পেশা। এতে তার সামান্য কিছু রোজগার হলেও তাঁর জীবনে বৈচিত্র্য এনে দেয় এই পেশা। একেকদিন এক এক রকম রূপ। শিল্পী হরিদা তার পেশার প্রতি বিশ্বস্ত ও নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।



[৫] 'একদিন চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে …. একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল— ‘আতঙ্কের হল্লা' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে কী ঘটনা ঘটেছিল?


[] সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে ঠিক দুপুরবেলা চকের বাসস্ট্যান্ডে বহুরূপী হরিদার উন্মাদ-পাগলের সাজ দেখে সকলে একই সঙ্গে চমকিত ও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছিল। একেই ‘আতঙ্কের হল্লা' বলা হয়েছে।

[] একদিন চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে দুপুরবেলা এক উন্মাদ পাগলের আবির্ভাবে সকলে ভীত হয়ে পড়ে। সেই পাগলের মুখ থেকে লালা ঝরে পড়ছে, চোখ টকটকে লাল। কোমরে একটা ছেঁড়া কম্বল জড়ানো, গলায় টিনের কৌটোর মালা। হাতে থান ইট নিয়ে সে বাসের যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিল। যদিও পরে বাস ড্রাইভার কাশীনাথ উন্মাদবেশী হরিদাকে চিনতে পেরে ধমক দিয়েছিল।



[৬]‘হরিদার জীবন একইরকম বহুরূপের খেলা দেখিয়েই একরকম চলে যাচ্ছে’। – হরিদার জীবনের ‘বহুরূপের খেলা’র পরিচয় দাও।


[] গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে পেশায় বহুরূপী হরিদা মাঝে মাঝে বিভিন্ন ছদ্মবেশে লোকসমক্ষে আবির্ভূত হতেন। কখনো পাগল, কখনো বা রূপসি বাইজি, কখনো বাউল, কখনো বা কাপালিক। কোনোদিন বোঁচকা কাঁধে বুড়ো কাবুলিওয়ালা, কোনোদিন হ্যাট-কোট-প্যান্ট পরা ফিরিঙ্গি সাহেব।

একবার পুলিশ সেজে স্কুলের মাস্টারমশাই ও তার ছাত্রদের চোখে ধুলো দিয়েছিলেন। বাইজির সাজেই তাঁর জীবনের সর্বাধিক উপার্জন। মোট আট টাকা দশ আনা। হরিদার বিভিন্ন রূপের মধ্যে সর্বোত্তম ছিল জগদীশবাবুর গৃহে ধরা বিরাগীর রূপ। কারণ এই রূপেই, তাঁর মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভিতরের স্বরূপটি উদ্‌ঘাটিত হয়েছিল।



[৭] “মোট আট টাকা দশ আনা পেয়েছিলেন” - কে পেয়েছিলেন? কী কারণে তিনি টাকাটা পেয়েছিলেন?


[] সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী' গল্পের মুখ্য চরিত্র হরিদা ছিলেন বহুরূপী। তিনি বাইজি সেজে মোট আট টাকা দশ আনা পেয়েছিলেন।

[] একদিন এক সন্ধ্যাবেলা দোকানে সবে আলো জ্বলেছে, হঠাৎ একজন সুন্দরী বাইজির ঘুঙুরের শব্দে মানুষজন সচকিত হয়ে ওঠে। এক-একটি দোকানের সামনে সে যাচ্ছে এবং একটি ফুলসাজি এগিয়ে দিচ্ছে। দোকানদার সেই সাজিতে একটি সিকি ফেলে দিচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে নতুন লোকেরা অবাক ও চেনা লোকেরা মুগ্ধ হয়ে যায়। কেউ মুখ ঘুরিয়ে চলে যায়, অনেকেই তাকে টাকা দেয়। সেই দিন হরিদার জীবনের সবচেয়ে বেশি উপার্জন হয়েছিল—আট টাকা দশ আনা।



[৮] ‘পরদিন অবশ্য স্কুলের মাস্টারমশাইয়ের জানতে বাকি থাকেনি'—কোন্ ঘটনা জানতে স্কুলের মাস্টারমশাইয়ের বাকি থাকেনি? এতে মাস্টারমশাইয়ের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?


[] ‘বহুরূপী’ গল্পে নামভূমিকাটি যাঁর, তিনি হলেন পাড়ার প্রসিদ্ধ হরিদা। হরিদা একদিন পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচুবাগানে দাঁড়িয়েছিলেন। স্কুলের চারজন ছাত্রকে হাতেনাতে ধরেছিলেন। স্কুলের মাস্টারমশাই স্বয়ং এসে ক্ষমা চেয়ে ও আট আনা ঘুষ দিয়ে ছাত্রদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এই রহস্য জানতে স্কুলের মাস্টারমশাইয়ের আর বাকি থাকেনি।

হরিদার পুলিশ সাজার ও তাঁর কাছ থেকে আট আনা ঘুষের গোপন কাহিনি জানার পর মাস্টারমশাই এতটুকুও রাগ করেননি। বরং হরিদার অসম্ভব সুন্দর অভিনয় ও সাজের জন্য তাঁকে প্রশংসা করেছিলেন।



[৯] ‘আমি বলছি তোমরা সেখানে থেকো' - ‘আমি’ ও ‘তোমরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? শ্রোতাদের সেখানে থাকার কথা কেন বলা হয়েছে?


[] আলোচ্য অংশে ‘আমি’ বলতে সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পের মুখ্য চরিত্র হরিদাকে বোঝানো হয়েছে। অন্যদিকে ‘তোমরা’ বলতে কথক ও তার বন্ধু ভবতোষ, অনাদি প্রমুখের কথা বোঝানো হয়েছে।

[] সেদিন সন্ধ্যাবেলায় হরিদা পাড়ার ধনী ব্যক্তি জগদীশবাবুর বাড়িতে কথক ও তার বন্ধুদের থাকার কথা বলেছিলেন। কারণ তিনি সেদিন জগদীশবাবুর বাড়িতে সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী সেজে, এক জবর খেলা দেখানোর মতলব করেছিলেন। কিন্তু দর্শক না থাকলে বহুরূপীর সাজ বৃথা হবে। তাই তাদের সেদিন হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে উপস্থিত থাকতে বলেছিলেন।



[১০] ‘বড়ো চমৎকার আজকের এই সন্ধ্যার চেহারা'–সন্ধ্যার চেহারার বর্ণনা দাও।


[] সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পে হরিদা কথক ও তার বন্ধুদের এক অত্যাশ্চর্য খেলা দেখার আমন্ত্রণ জানান পাড়ার ধনী ব্যক্তি জগদীশবাবুর গৃহে। সেদিনের সন্ধ্যায় প্রকৃতিও যেন হরিদাকে সঙ্গ দিয়েছিল। স্নিগ্ধ ও উজ্জ্বল চাঁদের আলো দীর্ঘকাল পরে শহরের পরিবেশকে সুন্দর করে তুলেছিল। ফুরফুরে বাতাসে জগদীশবাবুর বাড়ির বাগানের গাছের পাতা ঝিরিঝিরি করে যেন কিছু বলতে চাইছিল। এমন মায়াময় পরিবেশেই আবির্ভাব হয়েছিল।



[১১] ‘বিরাগীর পায়ের কাছে থলিটাকে রেখে দিয়ে ব্যাকুল স্বরে প্রার্থনা করে জগদীশবাবু'—বিরাগী কে? তার কাছে জগদীশবাবুর প্রার্থনার কারণ কী?


[] ‘বিরাগী’ হলেন সর্বত্যাগী সাধুবেশী বহুরূপী হরিদা।

[] ধনী ও কৃপণ জগদীশবাবু মনের দিক থেকে অত্যন্ত দুর্বল। তাই তিনি সাধুসঙ্গ করে মানসিক বল পেতে চান। হরিদা অর্থাৎ বহুরূপীর বিরাগী সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশ দেখে ও তাঁর মুখে দার্শনিক উক্তি শুনে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন। বিরাগীকে নিজের গৃহে কয়েকদিন অবস্থান করতে অনুরোধ জানিয়েও যখন লাভ হয় না, তখন জগদীশবাবু তাঁকে একশো টাকা প্রণামী দিতে চান। এই প্রণামী যাতে বিরাগী তীর্থভ্রমণের খরচ হিসেবে গ্রহণ করেন, তাই তিনি ব্যাকুল মনে প্রার্থনা করতে থাকেন।



[১২] ‘এটা কী কাণ্ড করলেন, হরিদা?’— বক্তা কোন্ কাণ্ডের কথা বলতে চেয়েছে? কাণ্ডটি বিস্ময়কর কেন?


[] সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে হরিদা বিরাগী সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে জগদীশবাবুর গৃহে গেলে তিনি প্রণামী হিসেবে একশো টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু হরিদা তা গ্রহণ করেননি। এখানে সেই কাণ্ডের কথা হরিদার বন্ধু অনাদি বলেছিল।

[] কাণ্ডটি বিস্ময়কর। কারণ হরিদা ছিলেন মূলত একজন দরিদ্র ব্যক্তি, যিনি প্রায়ই উপোস করে থাকতে বাধ্য হতেন। বহুরূপীর পেশার অতি সামান্য রোজগারে তাঁর দিন চলতো। তবুও হাতের কাছে একশো টাকা পেয়ে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন কেবলমাত্র তার সাজা চরিত্রের সঙ্গে অর্থলিপ্সা মেলে না বলে। নিজের পেশার মানরক্ষার জন্য তিনি এরূপ আচরণ করেছিলেন যা সাধারণের কাছে বিস্ময়কর মনে হতে পারে।



[১৩] ‘তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়'—ঢং বলতে এখানে কী বোঝানো হয়েছে? কীসে ঢং নষ্ট হয়ে যাবে?


[] পেশায় বহুরূপী হরিদাকে নিজের বিভিন্ন রূপের সঙ্গে সঙ্গে, কথা বলা—আচরণ ও স্বভাবের ঢং-ও পালটাতে হত। উদ্ধৃত অংশে বিরাগী সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে হরিদাকে তাঁর যে আচরণ আত্মস্থ করতে হয়েছিল, সেই ঢং-এর কথা বলা হয়েছে।

[] হরিদা জগদীশবাবুর সামনে বিরাগী সন্ন্যাসী সেজে গিয়েছিলেন। এমন একজন বিরাগী, যাঁর পৃথিবীর সমস্ত বস্তুর প্রতি বিরাগ জন্মেছে। এখন এই সন্ন্যাসী যদি সামান্য একশো টাকার লোভ সংবরণ করতে না পারেন, তবে বিরাগীর আচরণের সঙ্গে তাঁর বক্তব্যের কোনো সাদৃশ্য থাকবে না। {সম্পূর্ণ অভিনয়টিই মাঠে মারা যাবে। একেই ঢং নষ্ট হয়ে যাওয়া বলা হয়েছে।

আসলে বহুরূপী হরিদার প্রকৃত স্বরূপটি প্রকাশ পেয়েছিল এই আচরণে।



[১৪] ‘যাবই তো। না গিয়ে উপায় কী?’—কোথায় যাওয়ার কথা বলা হয়েছে? না গিয়ে উপায় নেই কেন?


[] ‘বহুরূপী’ গল্প থেকে উদ্ধৃত উক্তিটিতে পাড়ার ধনী ব্যক্তি জগদীশবাবুর কাছে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

[] হরিদা বহুরূপী। নানাধরনের চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের মনোরঞ্জন করাই তার পেশা। মানুষ খুশি হয়ে যা টাকাপয়সা দেয়, তাতেই তাঁর দিন চলে। জগদীশবাবুর সামনে বিরাগী সেজে গিয়ে তাঁকে বোকা বানালেও তাঁর দেওয়া প্রণামী বাবদ একশো টাকা তিনি নিতে পারেননি। কারণ, তাতে হরিদাকৃত বিরাগী চরিত্রের মান যেত। কিন্তু বহুরূপী হিসেবে হরিদার যে পারিশ্রমিক প্রাপ্য, তা নিতে তাঁকে একবার জগদীশবাবুর কাছে যেতেই হবে।




[১৫] ‘অদৃষ্ট কখনো হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না’—হরিদার কোন ভুলের কথা বলা হয়েছে? অদৃষ্ট কেন হরিদার ভুল ক্ষমা করবে না?


[] সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পের হরিদা জগদীশবাবুর অর্থ নেননি। এই ঘটনাকেই কথক হরিদার ভুল সিদ্ধান্ত বলেছিলেন।

[] বহুরূপীর হরিদার জীবন খুব কষ্টের ছিল। তার দিন চলতো বহুরূপী পেশা থেকে যা সামান্য রোজগার ছিল তা দিয়ে। অথচ বিরাগীর ছদ্মবেশে হরিদা জগদীশবাবুর কাছ থেকে টাকা নেননি। হরিদার এই সিদ্ধান্ত তার ‘দিন-আনা-দিন-খাওয়া’ জীবনে সামান্য সুখের মুখ দেখা থেকে বঞ্চিত করবে। কথক সেই কথাই বলতে চেয়েছেন।





দশম শ্রেণির বাংলা অন্যান্য লেখা



 

-----------------------------------

Download PDF File

-----------------------------------





Go Home (info)




আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন

👇👇👇👇


Join Telegram

Join Facebook

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url