Join Telegram Join Facebook বাংলা রচনা
সাহিত্যের ইতিহাস সাজেশান Question-Paper
WBCS স্কুল নোটস ইতিহাস

বিশ্ব উষ্ণায়ন ও পরিবেশের সংকট, বাংলা প্রবন্ধ রচনা, Biswa Usnayan o Poribesh, Bangla Rachana, বাংলা রচনা

প্রিয় শিক্ষার্থীরা,

আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো বাংলা প্রবন্ধ রচনা ||  বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির বাংলা পরীক্ষায় প্রবন্ধ রচনার নমুনা উত্তর পেয়ে যাবে এখানে। এগুলি তোমাদের পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।



Join Our Telegram Channel




বিশ্ব উষ্ণায়ন ও পরিবেশের সংকট, বাংলা প্রবন্ধ রচনা, Biswa Usnayan o Poribesh, Bangla Rachana, বাংলা রচনা





বিশ্ব উষ্ণায়ন ও পরিবেশের সংকট 




ভূমিকা :- উর্বর মস্তিষ্কের মানুষ যেদিন থেকে পরিবেশের সুবিস্ত্রিত প্রাণী জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আপন ভোগ সুখ ও সাচ্ছন্দের জন্য নিজস্ব সুসভ্য জীবনের ইমারত গড়ার কাজে কোমর বেঁধে লেগেছে সেদিন থেকে পরিবেশের উপর শুরু হয়েছে অত্যাচারের করাঘাত।  তখন থেকে অত্যাচারিত পরিবেশে উঠলো না বিশ্বাস বিগত একশো বছরের অপরিণামদর্শী মানুষের অবিবেচনা প্রসূত অপকর্মে পরিবেশ শুধু লণ্ডভণ্ডই হয়নি। 


পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি :-- গ্লোবাল ওয়ার্মিং তথা পৃথিবীর উষ্ণতা  তথা পৃথিবীর উষ্ণতা যা ক্রোমবর্ধমান।  মাএ এিশ  বছরে পৃথিবীর মেরু প্রদেশের তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এই হারবৃতি ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি পৌঁছালে তার পরিনাম যে কি ভয়াবহ হতে পারে বিজ্ঞানীরা তারও হুশিয়ারি শুনিয়েছেন বিশ্ববাসীকে। 


উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ :-- ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে কিছু আগে বিজ্ঞানীদের এক সমীক্ষায় পৃথিবী যে ক্রমশ গরম হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তাসকষ্ট ধারা পড়ছে।  পরিবেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভোগ সুখ স্বাচ্ছন্দের আকন্ঠলিপ্ত মানুষ এই দায়ী।  উষ্ণতা বৃদ্ধির আর এক কারণ গ্রীন হাউস গ্যাস সমূহ যা মানুষের সৃষ্টি।  এগুলিকে গ্রীন হাউজ গ্যাস বলা হয় এই কারণে যে এইগুলি ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ রশ্মিকে শোষণ করে অথচ তাপ রশ্মিকে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার পথ করে দেয় না সহজ কথায় চেপে রাখে।  গ্রিনহাউস গ্যাস বাইরে বেরোতে পারছে না তেল, কাঠ, কয়লা  প্রভূতি যত পুড়ছে গ্রীন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ উওরোওর বাড়ছে। 


উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে কী কী ঘটতে পারে :-- ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত বসুন্ধরা সম্মেলন বিজ্ঞানীরা যে হিসাব দাখিল করেছিলেন তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল ওই বছরই পৃথিবীর বাতাসকে মানুষ উপঢৌকন স্বরূপ দিয়েছে ৭০০ কোটি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড। অষ্টাদশ শতাব্দীর শিল্প বিপ্লবের পর থেকে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে জমা পড়েছে ১৭ হাজার কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড।  ২০৫০ খ্রিস্টাব্দে তার দ্বিগুনে গিয়ে দাঁড়াবে বিজ্ঞানীদের অনুমান। বলে পৃথিবীর তাপমাত্রা সেই হারে বৃদ্ধি পাবে বলাই বাহুল্য।  মেরু প্রদেশের ৮০ শতাংশ বরফ গলে যাবে।  ইতিমধ্যে উত্তর মহাসাগরের ৪০ শতাংশ বরফ গলে গেছে।  বরফ গলা জলে সমুদ্রের প্রতিবছর গরে ২ সেমি করে জলস্ফীতি ঘটছে।   ১. উষ্ণতার বৃদ্ধি বিগত সব রেকর্ড কে অতিক্রম করে যাবে।  ২. আমার ঘন ঘন পরিবর্তন দেখা যাবে।  ৩. সাগর জলের স্থিতির কারণে পৃথিবীর ৫০ শতাংশ মানুষ বাস্তুুহারা হবে ।  ৪. অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ কমায় খড়া ও পার্বত্য অঞ্চলে অতি বর্ষণের ফলে ভয়াবহ বন্যা হওয়ার। 


মানুষের করনীয় কী :---  প্রাণঘাতী যত রকমের আগ্নেয় ও পরমাণু অস্ত্র তৈরির কলকারখানা আছে মানুষ এগুলি বন্ধ করবে।   গ্রীন হাউস ক্রোমবর্ধমান উষ্ণতা   বড় পরিক্রতা।  জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পৃথিবীর দেশ গুলি অরণ্য সংরক্ষণ ও অরণ্য সম্প্রসারণ এর কাজে অগ্রণী হবে। 


উপসংহার :--- শিক্ষা দেবে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও পরিবেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা। মানুষ পরিবেশ ও পরিবেশের উপযোগিতা সম্পর্কে সচেতন হলে অজ্ঞতা জনিত অপরিনামদর্ষিতা দূর হবে।  এবং অপকর্মের অবলোপ হবে। 









আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন








-------------------------------------------------------------
File Name : বিশ্ব উষ্ণায়ন ও পরিবেশের সংকট

File Format : পিডিএফ

File Language : বাংলা

File Location : গুগল ড্রাইভ

Download Link :  বিশ্ব উষ্ণায়ন ও পরিবেশের সংকট
-------------------------------------------------------------
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url