Join Telegram Join Facebook বাংলা রচনা
সাহিত্যের ইতিহাস সাজেশান Question-Paper
WBCS স্কুল নোটস ইতিহাস

আফ্রিকা [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর] কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণি, Afrika Poem By Rabindranath Tagore, Class 10 Madhyamik, MCQ SAQ

প্রিয় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,

আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো মাধ্যমিক বাংলা আফ্রিকা কবিতা থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
|| ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Question and Answer | 10th Bengali Examination

দশম শ্রেণির Bangla বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।






আফ্রিকা [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর] কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণি, Afrika Poem By Rabindranath Tagore, Class 10 Madhyamik, MCQ SAQ 



আফ্রিকা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



এম সি কিউ



১. আফ্রিকাবাসীর রক্তে অশ্রুতে মিশে ধুলি কেমন হলো ? — পঙ্কিল।


২. রুদ্র সমুদ্রের বাহু কাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল? — আফ্রিকাকে ।


৩.'হায়' শব্দে কাকে লক্ষ্য করা হয়েছে ? — ছায়াবৃতা আফ্রিকাকে ।


৪.কেমন অবকাশে আফ্রিকা দুর্গমের রহস্য সংগ্রহ করেছিল ? — নিভৃত।


৫. আফ্রিকাকে কেমন আলোর অন্তঃপুরে বাঁধলো? — কৃপণ।


৬. আফ্রিকা কবিতার রচয়িতা কে? — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


৭.আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল কে? — রুদ্র সমুদ্রের বাহু।


৮.এলো মানুষ ধারার দল — মানুষ ধারার দল বলতে বোঝানো হয়েছে —- ঔপনিবেশিকদের।


৯.তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে বাষ্পাকুল — অরণ্যপথে ।


১০.ধরিত্রী শব্দের অর্থ কী? — পৃথিবী ।


১১. স্রষ্টা ঘন ঘন মাথা নাড়েন কেনো? — অধৈর্যে ।


১২. মন্দিরে বাজছিল পুজোর ঘন্টা — সকাল সন্ধ্যায় ।


১৩. সমুদ্র পাড়ে সেই মুহূর্তেই তাদের পাড়ায় পাড়ায় / মন্দিরে বাজছিল — পূজার ঘন্টা।


১৪.নখ যাদের তীক্ষ্ণ – কাদের চেয়ে তীক্ষ্ণ? — নেকড়ের চেয়ে।


১৫.প্রদোষ কাল ঝঞ্ঝা বাতাসে রুদ্ধশ্বাস – প্রদোষ কথার অর্থ — সন্ধ্যা ।


১৬. চির চিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে। — কারা চির চিহ্ন দিয়ে গেল? — ইউরোপের শ্বেতাঙ্গ উপনিবেশিকরা।


১৭. অশুভ ধনীদের ঘোষণা করলে দিনের অন্তিম কাল — কারা ঘোষনা করলো? — গুপ্ত গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসা পশুরা ।


১৮. মন্ত্র জাগাচ্ছিল যে মনে তা কেমন? — চেতনাতিত ।


১৯. উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে — উপেক্ষা কার প্রতি? — আফ্রিকার প্রতি।


২০.আফ্রিকা কবিতা যে পত্রিকায় প্রকাশিত? — প্রবাসী ।


২১. সকালে সন্ধ্যায় — দেবতার নামে — দয়াময়।


২২.দিনের অন্তিমকাল ঘোষণা করল কিভাবে ? -- অশুভ ধ্বনিতে।


২৩.আদিম যুগের শ্রেষ্ঠ কার প্রতি অসন্তোষ ছিল ? — নিজের প্রতি।


২৪.আফ্রিকা পাঠ্য কবিতায় রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে? — পত্রপুট ।


২৪.ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে – কোথা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল? — প্রাচী ধরিত্রীর বুক থেকে।


২৫. প্রদোষকাল ঝঞ্জা বাতাসে রুদ্ধশ্বাস – প্রদোষ শব্দের অর্থ — সন্ধ্যা।


২৬.সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পূর্ণ বাণী — তোমার বলতে বলা হয়েছে — যুগান্তরের কবি।


২৭.অপরিচিত তোমার মানব রূপ — কেনো অপরিচিত ছিল ? — কালো ঘেমটার নিচে থাকার জন্য।


২৮.উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে নিজের প্রতি কার অসন্তোষ ছিল? — স্রষ্টার।


২৯.আফ্রিকা বাসির ভাষা হীন ক্রন্দনে অরণ্য পথ কেমন হয়েছিল? — বাষ্পাকুল।


৩০.সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পূর্ণবাণী —- সভ্যতার শেষ পূর্ণ বাণী কী? — ক্ষমা করো ।


৩১.---- ঘোমটার নিচে? — কালো ।


৩২.উপেক্ষার দৃষ্টি ছিল — আবিল ।


৩৩.অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করলো – কী ঘোষণা করলো? — দিনের অন্তিম কাল।


৩৪.নির্ভৃত অবকাশে তুমি /সংগ্রহ করছিল — দুর্গমের রহস্য ।


৩৫.আফ্রিকাকে কিসে বাধলে? — বনস্পতির নিবিড় পাহারায়।


৩৬.সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্য বাণী — সভ্যতার শেষ পূর্ণ বাণী হলো — ক্ষমা করো।


৩৭.গর্বে তারা অন্ধ ছিল আফ্রিকার কেমন অরন্যর চেয়ে? — সূর্য হারা অরণ্যের চেয়ে।


৩৮.কোন যুগের স্রোষ্টা নিজেদের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন? — আদিম যুগে।


৩৯.সভ্যের লোভের প্রকৃত কেমন? — বর্বর।


৪০.প্রাচী শব্দের অর্থ কি? — পূর্ব দিক।


৪১.মানহারা মানবির দ্বারে — মানহারা মানবী হল — আফ্রিকা।


৪২.স্রষ্টা নিজের সৃষ্টিকে বারবার কি করেছিলেন ? — বিধ্বস্ত করেছিলেন।


৪৩.সভ্যর বর্বর লোভ নগ্ন করলে তার নির্লজ্জ — অমানুষতা।


৪৪. প্রলাপের ধারণাটি কেমন? — হিংস্র।


৪৫.আফ্রিকা কিসের রহস্য সংগ্রহে রত ছিল? — দুর্গমের রহস্য ।


৪৬.বাষ্পাকূল কোন পথে ধুলি পঙ্কিল হলো? — অরণ্যপথে।


৪৭. ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে — তোমাকে বলতে বোঝানো হয়েছে — আফ্রিকাকে।


৪৮.কাদার পিণ্ড কেমন? — বীভৎস।


৪৯. আফ্রিকা কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? — পত্রপুট।


৫০.ছায়াবৃত্তা আফ্রিকার কোন রূপ অপরিচিত ছিল? — মানব রূপ ।


৫১.নতুন সৃষ্টিকে বারবার করেছিলেন — বিধ্বস্ত ।


৫২.আপনাকে উগ্র করে — প্রচন্ড মহিমায়। — বিভীষিকার ।


৫৩. এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে —- কারা এসেছিল ? — মানুষ ধরার দল।


৫৪.জলস্থল আকাশের কেমন সংকেত ছিল? — দুর্বোধ সংকেত ।


৫৫.মানুষ ধরার দল কোথায় এলো? — আফ্রিকায় ।


৫৬. সমুদ্র পাড়ে সেই মুহূর্তেই শিশুরা কোথায় খেলছিল? — মায়ের কোলে।


৫৭.মন্ত্র জাগাচ্ছিল, তেমার — মনে । — চেতনাতীত।


৫৮.কালো ঘেমটার নিচে কার মানব রূপ অপরিচিত ছিল ? — আফ্রিকার ।


৫৯.আফ্রিকা কিসের ছদ্মবেশে বিদ্রুপ করছিল? —- বিরূপের ।


৬০.মান হারা মানবীর দ্বারে আসার জন্য কাকে প্রার্থনা করা হয়েছে? — যুগান্তরের কবি কে ।


৬১.উদ্ভ্রান্ত আদিম যুগে কাকে বিদ্রুপ করেছিল আফ্রিকা? —- ভীষণকে ।


৬২.দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে —- এই আহ্বান জানানো হয়েছে — যুগান্তরের কবি কে।


৬৩.মানহারা কার দ্বারে দাঁড়ানোর প্রার্থনা করা হয়েছে? — মানবীর দ্বারে ।


৬৪.আফ্রিকা কাকে হার মানাতে চাইছিল? —- শঙ্কাকে।


৬৫.কবির সংগীতে কি বাজছিল ? — সুন্দরের আরাধনা।


৬৬.এলো ওরা লোহার হাত কড়ি নিয়ে — ওরা হলো — ইউরোপীয় ।


৬৭. প্রদোষ কালে পশুরা কোথা থেকে বেরিয়ে এলো ? —- গুপ্ত গহ্বর থেকে ।


৬৮.আদিম যুগটি কেমন ছিল? —- উদভ্রান্ত ।






এস এ কিউ



১.পশুরা বেরিয়ে এল — কেন পশুরা বেরিয়ে এলো?

[উ] এই কবিতায় কবি পশুরা বলতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে হিংস্র হানাদারী, যুদ্ধগামী রাষ্ট্রগুলির কথা বলেছেন। এইমাত্র পশুর মত যুদ্ধ দ্যত হয়ে আতঙ্কজনক পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল।


২.নখ যাদের তীক্ষ্ণ —- কথাটির তাৎপর্য কি ?

[উ] এই কথাটির তাৎপর্য হল ঔপনিবেশিক দের আনুমানিক হিংস্রতা কে খুবই নেকরের হিংস্রতার সঙ্গে তুলনা করে নখ যাদের তীক্ষ্ণ কথাটি ব্যবহার করেছেন। নেকড়ে যেমন নখের আঘাতে শিকার করে ছিন্নভিন্ন করে দেয় ঠিক এদের আক্রমণও তেমনি।


৩.উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে —- কোন কবির লেখা? কোন কবিতার প্রথম ছত্র? মূল কাব্যের নাম কী?

[উ] কবি হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এবং এটি আফ্রিকা কবিতার প্রথম ছত্র । এই কবিতার মূল কাব্যগ্রন্থের নাম হল 'পত্রপুট'।


৪.অপরিচিত ছিল তোমার মানব রূপ —- কোন পরিবেশে অপরিচিত ছিল? কেন অপরিচিত ছিল ?

[উ] আফ্রিকার বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডটিকে গহন অরণ্য ছায়ার আবৃত হওয়ায় অপরিচিত ছিল। এবং শিক্ষা সভ্যতাহীন আফ্রিকা-বাসীর মানবীয় রূপ সভ্য জগতের উপেক্ষায় অপরিচিত ছিল ।


৫.সেই আদিম যুগের স্রষ্টা অধৈর্য হারিয়েছিলেন কেন? এবং অধৈয করেছিলেন?

[উ] সেই আদিম যুগের স্রষ্টা নিজসৃষ্ট ভুবনের প্রতি অসন্তোষ অধৈর্য হয়েছিলেন। এবং ঘনঘন মাথা নাড়ছিলে। আর সৃষ্টিকে বারবার ওলটপালট করছিলেন ।


৬.বলো ক্ষমা করো —- কোন অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা?

[উ] ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি আফ্রিকার বররোচিত আক্রমণ, নির্বিচারে হত্যা, এবং লুন্ঠন উৎপীড়ন চালিয়ে যে মহাপাপ করেছে তার পরিনতিতে নামটি বিশ্বের যে দুর্দিন ঘুনিয়ে এসেছে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।


৭.এলো ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে করে নিয়ে — কার এল?

[উ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আফ্রিকা কবিতা থেকে উদ্ধৃত এই অংশে ওরা বলতে ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ উপনিবেশিক দের কথা বলা হয়েছে। লোহার হাত করি নিয়ে এলো ওরা।


৮.পশ্চিম দিগন্ত বলতে এখানে কি বোঝানো হয়েছে? প্রদোষ কাল কি? কি অর্থে ব্যবহৃত?

[উ] পশ্চিম দিগন্ত বলতে পাশ্চাত্য দেশগুলিকে বোঝানো হয়েছে। এবং প্রদোষ কাল হলো সন্ধ্যা কাল। বিশ্বযুদ্ধ প্রভাবিত মানব সভ্যতা বিধ্বংসী অন্ধকারই প্রদোষকাল অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।


৯. বলো ক্ষমা করো — কার কাছে ক্ষমা চাইতে প্রার্থনা? কেন এই প্রার্থনা?

[উ] আফ্রিকার কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রার্থনা। স্রষ্টার নিজের সৃষ্ট ভুবনে নারকিয়তা প্রকট। দায়তা তারই। তাই তার পক্ষ থেকে ক্ষমা করো বলার প্রার্থনা ।


১০. ঘন ঘন মাথা নাড়ার দিনে বলতে কী বলা হয়েছে ?

[উ] কোন সুদূর আদিম যুগে প্রাকৃতিক স্বভাবে তথা ঈশ্বরেচ্ছায় ভূ আলোড়নে পৃথিবীর সৃষ্টির রূপ মুহুর্ত ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছিল। সেদিনের সেই কথাই বলা হয়েছে।


১১.নতুন সৃষ্টিকে বারবার করেছিলেন বিধ্বস্ত — পঙ্ক্তিটিতে রবীন্দ্র প্রতিভার কোন কোন দিক উন্মোচিত হয় ?

[উ] বিধ্বস্ত সৃষ্টি এবং বিশ্লেষণী অঙ্কিত হওয়ায় রবীন্দ্র প্রতিভার অত্যাধিক ভৌগোলিক ও বৈজ্ঞানিক ধারণার দিক উন্মেচিত হয় ।


১২. তোমার চেতনাতীত মনে। — মনটি চেতনাতীত ছিল কেনো?

[উ] শিক্ষিত সভ্য পৃথিবী থেকে আফ্রিকার শিক্ষার আলো থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত ছিল । তাই তাদের মনটি চেতনাহীন বা জ্ঞানহীন ছিল ।


১৩.সভ্যের বর্বর লোভ — অর্থটি বুঝিয়ে দাও ?

[উ] নানাভাবে উন্নত হলেও মানবিকতায় ছিল অসভ্য। পশ্চিমে শ্বেতাঙ্গরা জাহির করতে। তাদের ছিলো অনধিকার অনুচিত সর্বগ্রাসী লোভ।


১৪.বীভৎস কাদার পিণ্ড —তাৎপর্যটি লেখ?

[উ] শ্বেতাঙ্গরা আফ্রিকাকে দস্যুতায় লুঠ করেছিল। কাটা মারা জুতোই পিষে মেরেছিল। রক্ত ঝরিয়ে ঘৃণা কর্দম পিন্ডের কলঙ্কিত ইতিহাস গড়েছিল ।


১৫.আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে — আসন্ন সন্ধ্যা কী? শেষ রশ্মী পাত কী?

[উ] দেশে দেশে অাগ্রসন ও বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসশীলতায় সভ্যতার ঘনিহিত সংকটই আসন্ন সন্ধ্যা। সভ্যতা সূর্যের বেলীয়মান শেষ রোশ্মিটুকুই শেষ রশ্মীপাত।


১৬. এসো যুগান্তরের কবি — যুগান্তরের কবি কথাটির অর্থ কী?

[উ] যুগান্তরের কবি বলতে রবীন্দ্রনাথ সেই কবিকে বুঝিয়েছেন যার কাব্য ধ্বনিতে হবে অন্যায় অবিচার অগ্রসরনের ধরা চোখের অবসান এর দাবি।


১৭.বিদ্রুপ করেছিলেন ভীষণ কে? —--- কে ভীষণকে কিভাবে বিদ্রুপ করেছিলেন?

[উ] আফ্রিকার প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা ও ভিষনাকে ভয় পাইনি। আরো বিধ্বংসী হয়ে তাকে বিদ্রুপ করেছিল।


১৮. রবীন্দ্রনাথের আফ্রিকা কবিতায় আফ্রিকা কে মানহারা মানবী বলা হয়েছে কেন ?

[উ] শ্বেতাঙ্গো উপনিবেশিকরা আফ্রিকার বর্বরোচিত আক্রমণ চালিয়ে আফ্রিকার নিজস্ব সংস্কৃতি ও স্বভিমানকে পদদলিত করেছেন । তাদের পশুতুল্য গণ্য করেছিলেন তাই আফ্রিকাকে মানহারা মানবী বলেছেন কবি।


১৯. বনস্পতি নিবিড় পাহাড়ায় —- এখানে বনভুতি শব্দের প্রয়োগের কবি হৃদয়ের কোন সূক্ষ্ম অনুভূতিটি প্রকাশিত হয়েছে?

[উ] কবি রবীন্দ্রনাথ চিরকাল অরন্যর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এখানে বনস্পতি শব্দের প্রয়োগ মমতাময় কবি হৃদয়ের অরণ্যপ্রীতির সূক্ষ্ম অনুভূতিটি প্রকাশিত হয়েছে বলে মনে করা হয়।


২০. বিদ্রুপ করেছিলেন ভীষণ কে —- কিভাবে বিদ্রুপ করছিল?

[উ] আফ্রিকা কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত এই অংশ থেকে নেওয়া আফ্রিকা মহাদেশ কে বিদ্রুপ কথা বলা হয়েছে। সে যেন তার দুর্বলতা ও রহস্যাবৃতের ছদ্মবেশ দিয়ে প্রকৃতির ভীষণ কে বিদ্রুপ করেছিল।


২১.উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে — সেই আদিম যুগ উদভ্রান্ত ছিল কেনো?

[উ] আদিম যুগ হলো একেবারে ঘোড়ার সময়টা। যা প্রাকৃতিক নিয়মে সৃষ্টি সে যুগে পৃথিবীর অন্তর ভাগ্য গভীরভাবে ক্রিয়া ছিল উদভ্রান্ত তথা উদ্দাম।


২২.যখন নিজের প্রতি অশান্ত সে স্রষ্টা —-- স্রষ্টার নিজের প্রতি অসন্তোষের কারণ কী?

[উ] সৃষ্টি সুন্দরতর না হলে স্রষ্টার সন্তোষে ভাটা পড়ে। আদিম যুগের সৃষ্টির স্রষ্টাকে সেই আনন্দ দিচ্ছিল না। স্রষ্টার নিজের প্রতি অসন্তোষের এটাই কারণ ছিল।


২৩. দস্যু -পায়ের কাটা -মারা জুতোর তলায় – বিষয়টি বোঝাও ।

[উ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফ্রিকা কবিতায় কাটামারা জুতোর তলায় বলতে শেতাঙ্গ উপনিবেশিকদের দ্বারা নৃশংসভাবে নির্যাতিত ও পদদলিত হওয়ার কথায় ব্যক্ত হয়েছে।


২৪.এসে যুগান্তরের কবি —- কবির ভূমিকাটি কী?

[উ] ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ উপনিবেশিকরা আফ্রিকায় আগ্রাসন চালিয়ে যে পৈশাচিক নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছে তার পরিণতিতে বিশ্বের ধ্বংস কাল আসন্ন। যুগান্তরের কবি এসে আফ্রিকার কাছে ক্ষমা চেয়ে বিশ্বকে রক্ষা করবেন।


২৫. কালো ঘোমটার নিচে —- কথাতির সরলার্থ কী?

[উ] ঘন বনস্পতি পরিবেষ্টিত আফ্রিকা এক ছায়াছন্ন জগৎ । সর্বদা অন্ধকারাচ্ছন্ন এখানকার অরণ্যভূমি। এখানকার জনজীবন সভ্যতার সংস্কৃতি বিশ্বে আজ্ঞয় তাই কবি কালো ঘোমটার নিচে কথাটি বলেছেন।


২৬. উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে — সেই আদিম যুগের স্রষ্টার মানসিক অবস্থান কী রূপ ছিল? সেজন্য তিনি কি করেছিলেন?

[উ] সেই আদিম যুগে স্রষ্টা নতুন সৃষ্টি নিয়ে নিজের প্রতি অসন্তোষ ছিলেন। তাই তার নতুন সৃষ্টি টিকে বারবার বিধ্বস্ত করেছিলে।


২৭.আফ্রিকা কবিতাটির কবি এবং কাব্যগ্রন্থের নাম কি?

[উ] আফ্রিকা কবিতাটির কবির নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিতাটি কবির পত্রপুট কাব্যগ্রন্থ থেকে সংগৃহীত হয়েছে।


২৮.প্রকৃতির দৃষ্টি অতীত জাদু —- দৃষ্টি অতীত জাদু কী?

[উ] অরণ্য প্রাকৃতিক রহস্যজনক বৈচিত্র পূর্ণ আচরণ অনেক সময় মানববুদ্ধির অগম্য হয়ে ওঠে। আফ্রিকার অরণ্যময় জগতের এই রহস্যময় দিকটিকেই কবি প্রকৃতির দৃষ্টি, অতীত যাদু বলেছেন।


২৯.কার অনুরোধে কবি আফ্রিকা কবিতাটি রচনা করেন?

[উ] কবি আফ্রিকা কবিতাটি রচনা করেন অমিয় চক্রবর্তীর অনুরোধে রচনা করেন।


৩০.নগ্ন করলো আপন নিলজ্জ অমানুষতা — নির্লজ্জ অমানুষতার পরিচয় দাও?

[উ] উপনিবিষ্ট শেতাঙ্গরা গরবান্ধ, সভ্যতাভিমানী, বর্বর, লোভী, নির্লজ্জ। তারা আফ্রিকাবাসীদের কাঁদাল, রক্তাক্ত কর, জুটোয় পিষে মারল । এমনই তাদের নির্লজ্জ অমানুষতা।


৩১. পশুরা বেরিয়ে এলো — পশুরা কোথা থেকে বেরিয়ে এলো?

[উ] পশুরা বেরিয়ে এল গুপ্ত গহ্বর থেকে। অর্থাৎ উপনিবেশিক যুদ্ধবাজ রাষ্ট্র গুলি মানবতা ও বিশ্ব সম্পর্কে গতি অতিক্রম করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।


৩২.প্রাচী ধরিত্রীর বুক থেকে — প্রাচী ধরিত্রীর বলতে কোন অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে?

[উ] আফ্রিকা কবিতা থেকে উদ্ধৃত এই অংশে রাচি ধরিত্রী বলতে কবি পৃথিবীর পূর্ব দিকের দেশগুলির কথা বলেছেন।


৩৩.তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে — ভাষাহীন ছিল কেনো?

[উ] শ্বেতাঙ্গদের অাগ্রাসনে অত্যাচারের নিপীড়িত আফ্রিকা-বাসীর ক্রন্দন ছিল সার। তা ছিল বলাহেনের প্রতিবাদ। এবং ক্রন্দন তাই ভাষাহীন নির্বাক বলা হয়।


৩৪. এল মানুষ -ধরার দল — মানুষ ধরার দল বলতে কবি কাদের বুঝিয়েছেন?

[উ] ইউরোপীয় উপনিবেশিকরা আফ্রিকার সরল, নিষ্পাপ মানুষগুলিকে বন্দি করে ক্রীতদাস রূপে বিক্রি করে দিয়েছিল। পাঠিয়েছিল রক্তক্ষরণ যুদ্ধে। কবি তায় ওদের মানুষ ধরার দল বলেছেন।


৩৫.আফ্রিকা কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ কোন বাণীকে সভ্যতার শেষ পুণ্য বাণী বলেছেন?

[উ] আফ্রিকা কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ যুগান্তরের কবির কণ্ঠে ক্ষমা করো। বাণীটি কে সভ্যতার শেষ পুণ্য বাণী বলেছেন।


৩৬.রুদ্র সমুদ্রের বাহু —- সমুদ্র রুদ্র কেন হয়েছিল?

[উ] সূর্য চন্দ্রের আকর্ষণে, ভূমিকম্প নিয়ে ঝঞ্ঝার সমুদ্র উত্তাল হয়। সেই আদিম যুগে এমনই কোনো দূরন্ত কারণে সমুদ্র বিশেষভাবে রুদ্র তথা ক্রুদ্ধ হয়েছিল ।


৩৭. আফ্রিকা কবিতাটি রচনাকাল উল্লেখ করো?

[উ] আফরিকা কবিতাটি ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দের ৮ ই ফেব্রুয়ারি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাটি রচনা করেন।


৩৮.অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করল —- অশুভ ধ্বনুতে কি ঘোষণা করেছিল?

[উ] গুপ্ত গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসা পশুরা অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করে দিনের অন্তিম কাল, অর্থাৎ বিশ্বের যুদ্ধবাজ রাষ্ট্রগুলি বিধ্বংসী রক্ত

যুদ্ধের সূচনা করে বিশ্বের অন্ধকার ডেকে আনে।


৩৯.উদভ্রান্ত আদিম যুগ বলতে কি বোঝানো হয়েছে?

[উ] উদ্ভ্রান্ত আদিম যুগ বলতে সৃষ্টির প্রথম প্রহরের টালমাটাল ও অস্থির পরিবেশের তথা সময়ের কথা বলা হয়েছে।


৪০.আফ্রিকা কবিতা রচনার প্রেক্ষাপট কী?

[উ] ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে ফ্যাসিস্ট ইতালির আবিসিনিয়ার স্বাধীনতা হরণ ও ঔপনিবেশিক শাসন স্থাপন।


৪১. বিভীষিকার প্রচন্ড মহিমায় — ব্যবহৃত শব্দ গুলির তাৎপর্য লেখ।

[উ] আফ্রিকার অরণ্য হিংস্র প্রাণী এবং অশিক্ষিত মানব স্বভাব ছিল উগ্র বিভীষিকাময়। তা স্বকীয় মহত্ম মমতা তাই প্রচন্ড।


৪২.এসো যুগান্তরের কবি —- যুগান্তরের কবি কে? তাকে কার কাছে দাঁড়াবার প্রার্থনা করা হয়েছে?

[উ] যুগান্তরের কবি হলেন যুগস্রষ্টা তথা বিশ্বস্রাষ্ঠা । তাকে অবমানিত আফ্রিকার সম্মুখে দাঁড়াবার প্রার্থনা করা হয়েছে।


৪৩. বনস্পতি শব্দের অর্থ কি?

[উ] বনস্পতি শব্দের অর্থ হলো বোনের প্রতি। বা বনের সবচেয়ে বড়ো বড়ো গাছ ।


৪৪.নতুন সৃষ্টিকে বারবার করেছিলেন বিধ্বস্ত —- সৃষ্টি নতুন কেনো?

[উ] বৈজ্ঞানিক মতে আদিম ব্রাহ্মান্ড ছিল প্রকাণ্ড শূন্য। কোন আশ্চর্য সংগঠনায় গ্রহতারকাদির সৃষ্টি হয়ে গেল। তাই সৃষ্টিটা নতুন।


৪৫.কৃপণ আলোর অন্তপুরে। — কিভাবে আলো কৃপণ?

[উ] রুদ্র সমুদ্র আফ্রিকাকে বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড করে প্রায় আলোক হীন অরণ্যের পরিণত করল। সএই দিন নিস্প্রভ আলোয় কৃপণ আলো।


৪৬. আদিম যুগটি কেমন ছিল?

[উ] আদিম যুগটি ছিলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে উদভ্রান্ত ও দিশাহীন।


৪৭.ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে —- তোমাকে বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?

[উ] এই কবিতায় তোমাকে বলতে অন্ধকারাচ্ছন্ন আফ্রিকার কথা বোঝানো হয়েছে।


৪৮.সমুদ্র পাড়ে সেই মুহূর্তে —- সেই মুহূর্তে কি হয়েছিল?

[উ] সেই মুহূর্তে ইউরোপে তখন একেবারে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ। তখন নেই হানাহানি, রক্তপাত, কান্না। সেখানে মন্দিরে পুজোর ঘন্টা বাজছে। শিশুরা মায়ের কোলে খেলছে, এবং কবীর কণ্ঠে সুন্দরের আরাধনা।


৪৯.এল ওরা লোহার হাত কড়ি নিয়ে —- ওরা কারা? লোহার হাতকড়িটি কী? তা দিয়ে কী করলো?

[উ] এখানে ওরা শ্বেতাঙ্গ অত্যাচারী। এবং লোহার হাত করি হলো আগ্রাসনের প্রতিক। তা দিয়ে আফ্রিকাবাসীদের গ্রাস করল। ক্রীতদাস করল। শোষণ অত্যাচার চালালো।


৫০. আফ্রিকা কবিতা কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?

[উ] আফ্রিকা কবিতাটি 'প্রবাসী 'পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।


৫১. গর্বে যারা অন্ধ —- কীসের গর্ব ?

[উ] এখানে গর্ব বলতে শ্বেতাঙ্গ জাতি শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে উন্নত, সভ্য জাতি হিসেবে গণ্য করে নিজেদের। ঘৃণার চোখে দেখে অন্য জাতির সভ্যতা সংস্কৃতিকে। এই কথাটাকেই কবি বলেছেন।


৫২. পঙ্কিল হল ধুলি — কিসে ধূলি পঙ্কিল হল?

[উ] সশস্ত্র শ্বেতাঙ্গদের দ্বারা আক্রান্ত আফ্রিকা বাসীরা অনেক অশ্রু অনেক রক্ত ঝরলো। তাতে সিক্ত ধুলি বঙ্কিল হল।


৫৩. হয় ছায়াবৃতা —- কে কেন ছায়াবৃতা?

[উ] ধরিত্রী কন্যা আফ্রিকা ছায়াবৃতা। অরণ্য ও অগ্যতার ছায়ার আচ্ছন, তাই ছায়াবৃত্ত।


































-------------------------------------------------------------
File Name : আফ্রিকা কবিতার MCQ SAQ

File Format : পিডিএফ

File Language : বাংলা

File Location : গুগল ড্রাইভ

Download Link : ডাউনলোড
-------------------------------------------------------------
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url