Schoolদশম শ্রেণিপ্রবন্ধ-রচনা

মহাশ্বেতা দেবীর জীবনী, বাংলা প্রবন্ধ রচনা, Mahasweta Devi Jiboni, Bangla Rachana, বাংলা রচনা


প্রিয় শিক্ষার্থীরা,

আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো বাংলা প্রবন্ধ রচনা ||  বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির বাংলা পরীক্ষায় প্রবন্ধ রচনার নমুনা উত্তর পেয়ে যাবে এখানে। এগুলি তোমাদের পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।




মহাশ্বেতা দেবীর জীবনী, বাংলা প্রবন্ধ রচনা, Mahasweta Devi Jiboni, Bangla Rachana, বাংলা রচনা


মহাশ্বেতা দেবীর জীবনী 




ভূমিকা :– মহেশ্বেতা দেবীর আত্মজীবনী আমরা এখানে খুঁজে পাই।  তাহলো  ঝাঁসির রানী  অরণ্যের অধিকার   ইত্যাদি অসামান্য কালজয়ী  মহাশ্বেতা দেবীর মৃত্যু হতে পারে না।  তিনি চিরজীবী ইত্যাদি। 


জন্ম এবং পিতৃ পরিচয় :– মহেশ্বেতা দেবী জন্ম গ্রহণ করেছিলেন  বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ১৪ জানুয়ারি ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে । এবং তার পিতা ছিলেন মনিশ ঘটক সাহিত্যকর।  এবং মাতা ছিলেন সমাজদেবী ও সাহিত্য প্রেমী হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন । দেখা যায় বাবা ও মায়ের ধারাকে  তিনি বজায় রেখেছিলেন এবং সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। 


শিক্ষা :– মহাশ্বেতা দেবী ঢাকায়  ইডেন মন্তেসরী স্কুলে  শিক্ষা শুরু করেন । এবং আস্তে আস্তে পরে তা  মেদিনীপুর মিশন স্কুল শান্তিনিকেতন সেখান থেকে কলকাতার বেলপাতা বালিকা বিদ্যালয় ইত্যাদি  তে তিনি ইংরেজি অনার্স সহ স্নাতক ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে।  এবং ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে প্রাইভেটে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন । 


বিবাহ :– মহাশ্বেতা দেবী বিবাহ করেন প্রখ্যাত অভিনেতা বা নাট্যকার  বিজন ভট্টাচার্যকে । ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিবাহটি  করেন।  ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।  তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান নবারুণ ভট্টাচার্য।  পরবর্তীকালে দ্বিতীয় বিবাহ হয় অশ্লীল দত্তের সঙ্গে । কিন্তু সেটিও বিচ্ছেদ হয়। 


বিচিত্রমুখী কর্মজীবন :– মহেশ্বেতা দেবীর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল  ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে পদ্মপুকুর ইনস্টিটিউশন এর শিক্ষকতার কাজে ।  তার চাকরি যাওয়ার পর কাপড় কাচা সাবান বিক্রি করার টিউশনি ইত্যাদি জীবিকা ও তিনি অর্জন করেছিলেন।  সে সময় অত্যন্ত দারিদ্র্যের সঙ্গে কঠোর সংগ্রাম করতে হয়েছিল তার।  ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে ফেল শিক্ষকতায় আসেন তিনি।  ১৯৬৪ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত কুড়ি বছর অধ্যাপনা করেন  বিজয়গড় জ্যোতিষ রায় কলেজে। 


রচনাসম্ভার :– মহেশ্বেতা দেবীর প্রথম  লেখা প্রকাশিত হয় ছোটদের পত্রিকার রং মশাল। ‘ঝাঁসির রানী’ তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে।  এবং তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসটি ‘নটী’ ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে।  ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে যদি তার সাহিত্য সৃষ্টির সূচনা লগ্ন ধরা হয় অমৃত তার সাহিত্য সাধন সময় ষাট বছর।  উপন্যাসটি প্রায় ৬২ গল্প ও প্রবন্ধ ও কিশোর গ্রন্থ প্রায় ২৫ ইত্যাদি।  তিনি ‘বর্তিকা’  নামক পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। 


প্রতিভার মূল্যায়ন :– তিনি অন্যান্য ও অদ্বিতীয়।  তিনি যতটা সাহিত্যিক ততটা ছিলেন সক্রিয় সমাজসেবী।  আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবনধারার সঙ্গে প্রায় ৪০ বছর  জড়িত ছিলেন।  তাদের জীবনের অনুপুঙ্খ যাপনচিত্র কে তুলে এনেছেন তার সাহিত্যের মাধ্যমে।  এরা সবাই সন্তান তুললো বলেও কোন গণ্য করেছেন।  তাদের দুঃখ ও দারিদ্রতা তাদের উপর অত্যাচার  দূর করার জন্য তাদের পাশে মহেশ্বেতা দেবী ছিলেন। 


সম্মান ও পুরস্কার :– মহেশ্বেতাতা দেবী  দেশীয় আন্তর্জাতিক অজস্র সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন।  তা হলো জ্ঞানপীঠ, সাহিত্য,  আকাদেমি,  পদ্মশ্রী ইত্যাদি। 


উপসংহার :– পরিশেষে বলা যায় যে তিনি ছিলেন লাজুক মনের সাহিত্যিক।  এবং অগ্নিময়ী লেখিকা আপসে বিশ্বাসী ছিলেন না।  বাংলা সাহিত্যের নতুন মাত্রায় এনেছেন তিনি এক। 









সমস্ত প্রবন্ধ রচনা, বাংলা রচনা দেখ


আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন




————————————————————-
File Name : মহাশ্বেতা দেবীর জীবনী


File Format : পিডিএফ

File Language : বাংলা

File Location : গুগল ড্রাইভ

Download Link :  মহাশ্বেতা দেবীর জীবনী

————————————————————-

আরো পড়ুন :  আমার বাংলা থেকে বড়ো প্রশ্ন রচনাধর্মী প্রশ্ন | সুভাষ মুখোপাধ্যায় | দ্বাদশ শ্রেণি | Amar Bangla By Subash Mukhopadhyay | Long Question Answer | PDF Download

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: সংরক্ষিত !!