Join Telegram Join Facebook বাংলা রচনা
সাহিত্যের ইতিহাস সাজেশান Question-Paper
WBCS স্কুল নোটস ইতিহাস

বনগতাগুহা থেকে ৮টি বড়ো প্রশ্ন রচনাধর্মী প্রশ্ন | দ্বাদশ শ্রেণি সংস্কৃত | Banagata Guha Class 12 | Long Question Answer | PDF Download

✅ Join Our Telegram Channel ✅


বনগতাগুহা থেকে ৮টি বড়ো প্রশ্ন রচনাধর্মী প্রশ্ন | দ্বাদশ শ্রেণি সংস্কৃত | Banagata Guha Class 12 | Long Question Answer | PDF Download



প্রিয় উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,

আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো 'বনগতা গুহা' সংস্কৃত পাঠ্যাংশ থেকে রচনাধর্মী প্রশ্নের নমুনা উত্তর। ভালো লাগলে নিশ্চয় শেয়ার করবে। নমুনা উত্তরগুলি ভালো ভাবে অনুশীলন করলে তোমাদের উপকারে লাগবে।


যে যে প্রশ্নগুলি আছে(toc)





বনগতাগুহা | রচনাধর্মী প্রশ্ন








[১] ‘বনগতা গুহা অবলম্বনে অলিপর্বার চরিত্র বিশ্লেষণ করো।


[ভূমিকা] শ্রীগোবিন্দকৃষ্ণ মোদক বিরচিত ‘চোরচত্বারিংশীকথা’ গ্রন্থের প্রথমভাগ ‘বনগতা গুহা’ পাঠ্যাংশের মূল চরিত্র হলো অলিপর্বা। এই রচনায় অলিপর্বার জীবনের নানাদিক উঠে এসেছে।

[দরিদ্রতা] দারিদ্র্য অলিপর্বার জীবনের নিত্যসঙ্গী। তাঁর পিতার বিশেষ কোনো ধনসম্পদ ছিল না, আবার দুর্ভাগ্যবশত অলিপর্বা গরিব পরিবারে বিবাহ করবার ফলে অনেক কষ্টে দিনযাপন করত। সে প্রতিদিন ভোরে তার তিনটি গাধা নিয়ে চলে যেত বনে। বন থেকে কাঠ কেটে, নগরে তা বেচে অলিপর্বা জীবিকা নির্বাহ করতো অর্থাৎ এভাবেই সে তার সংসার চালাতো।

[ধৈর্য ও সাহসিকতা] দস্যু দলকে দেখে অলিপর্বা একটুও ভয় না পেয়ে অসামান্য ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে তাদের কার্যকলাপ লক্ষ করেছিল। এমনকি দস্যুরা চলে যাওয়ার পরেও সে গাছ থেকে নামেনি। এতে তার উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়।

[প্রবল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন] গুহার দরজা খোলা এবং বন্ধ করা—এই দুইবার মাত্র মন্ত্র শুনে মনে মনে কয়েকবার আবৃত্তি করে সে মুখস্থ করে ফেলেছিল। এ থেকে বোঝা যায়, অলিপর্বা প্রবল স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিল।

[লোভহীনতা] গরিব হলেও অলিপর্বা গুহার মধ্যে সোনারুপোর অজস্র অলংকার, রত্ন, ভোজ্যবস্তু, রেশমের বস্ত্র দেখেও লোভী ব্যক্তির মতো আচরণ করেনি। তার তিনটি গাধার বহন ক্ষমতা অনুযায়ী ধনসম্পদ সে বস্তাবন্দী করেছিল এবং তা গৃহে নিয়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত লোভ তাকে পেয়ে বসেনি। একারণে সুস্থ সবলভাবে গৃহে ফিরতে পেরেছিল।

[কৌতূহলপরায়ণ ও ঈশ্বরবিশ্বাসী] গাছ থেকে বনদস্যুদের কার্কলাপ দেখে অলিপর্বা কৌতূহলী হয়ে পড়েছিল। তাই প্রাণের মায়া ত্যাগ করে সে গুহার মধ্যে প্রবেশ করেছিল। আবার দস্যুদের ক্রিয়াকলাপ সম্বন্ধে সত্য জানতে অলিপর্বা ভাগ্যের উপর সমস্ত বিষয় ছেড়ে দিয়ে গুহার কাছে গিয়েছিল।

[মূল্যায়ন] অলিপর্বার চরিত্রের মধ্যে লক্ষ করা যায় যে—অনেক কষ্ট স্বীকার করেও সংসারে বেঁচে থাকা যায়। সৎ পথে জীবনযাপন করলে ঈশ্বর সহায় হন। এককথায় অলিপর্বা একজন সৎ এবং নির্ভীক মানুষ।



[২] অলিপর্বা এবং কশ্যপের আর্থিক অবস্থার পরিচয় দাও।


[ভূমিকা] শ্রীগোবিন্দকৃষ্ণ মোদক বিরচিত ‘চোরচত্বারিংশীকথা’ গ্রন্থের প্রথমভাগ ‘বনগতা গুহা’ পাঠ্যাংশের সূচনায় অলিপর্বা ও কশ্যপের আর্থিক অবস্থা বর্ণিত হয়েছে।

[কশ্যপ ও অলিপর্বা] কশ্যপ ও অলিপর্বা ছিল পরস্পর সহোদর ভাই। তাদের পিতার খুব বেশি ধনসম্পদ ছিল না। তাই দারিদ্র্য ছিল তাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী। এইরকম এক পরিস্থিতিতে তাদের বৃদ্ধ পিতা দুই পুত্রের মধ্যে সম্পত্তি সমানভাবে ভাগ করে দিলেন। যদিও তার দুই পুত্র কশ্যপ ও অলিপর্বার আর্থিক অবস্থা সমপর্যায়ে থাকেনি।

[কশ্যপের আর্থিক অবস্থা] কশ্যপ কোনো এক ধনীর কন্যাকে বিবাহ করে। এর ফলে তিনি খুব শীঘ্রই শ্রেষ্ঠ বণিকদের সমান ধনবান হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন রকমের বিলাসিতার মাধ্যমে কালযাপন করতে লাগলেন। অধিক ধনসম্পত্তির কারণে কশ্যপের কাছে কোনো জিনিস দুষ্প্রাপ্য ছিল না।

[অলিপর্বার আর্থিক অবস্থা] অলিপর্বা পিতৃসূত্রে অল্প পরিমাণ সম্পত্তির অধিকারী হয়েছিল। তার উপর তিনি বিয়ে করেছিলেন এক দরিদ্র কন্যাকে। ফলে দারিদ্র্য তার পিছু ছাড়ে নি। কুটিরে অলিপর্বা স্ত্রী-সন্তানসহ বাস করতেন। অতিকষ্টে তিনি দিনযাপন করতেন। প্রতিদিন ভোরবেলায় বনে গিয়ে জ্বালানি কাঠ কেটে নগরে সেগুলি বিক্রি করতেন। অর্থাৎ অলিপর্বা পেশায় ছিলেন কাঠুরে। কাঠ বিক্রির প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কোনো রকমে তার সংসার অতিবাহিত হতো। যদিও পাঠ্য গল্পের শেষে অলিপর্বার আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

[শেষকথা] দুজনের আর্থিক বৈষম্য বিপুল হলেও অলিপর্বা ছিল সহজ-সরল, সৎ, পরিশ্রমী। তাই গল্পের শেষভাগে দৈবক্রমে অলিপর্বার আর্থিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছিল।



[৩] ‘দ্বারং চ সপদি সংবৃতম্‌’—কোন্‌ দ্বার? ঘটনাটি সংক্ষেপে বর্ণনা কর।


[উ] পারস্য গল্পসাহিত্য ‘সহস্র এক আরব্য রজনী-র উল্লেখযোগ্য একটি গল্প ‘আলিবাবা ও চল্লিশ চোর’-এর সংস্কৃত অনুবাদ করেছেন শ্রীগোবিন্দকৃষ্ণ মোদক। মূল সেই গ্রন্থ ‘চোরচত্বারিংশী কথা’-র প্রথম ভাগের নাম ‘বনগতা গুহা’—যেখান থেকে উদ্ধৃতিটি গৃহীত।

[প্রথম অংশ] অলিপর্বা যে বনে কাঠ কাটতে গিয়েছিল, সেখানকার একটি পাহাড়ের গুপ্ত গুহার দ্বারের কথা এখানে বলা হয়েছে।

[দ্বিতীয় অংশ] (ক) প্রতিদিনের মতো অলিপর্বা একদিন জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে বনে গেলে হঠাৎ দূরে আকাশে ধূলিরাশি দেখতে পায়। সে বুঝতে পারে, ঘোড়ায় চড়ে দস্যু বা চোরের দল বনের মধ্যে প্রবেশ করেছে। কারণ, রাজপুরুষেরা এই বনের মধ্যে কদাচ প্রবেশ করে না। তখন অলিপর্বা নিকটের একটি বড়ো বড়ো পাতাযুক্ত বিশাল গাছে চড়ে নিজেকে গোপন করে।

(খ) গাছ থেকেই অলিপর্বা লক্ষ করে, তার অনতিদূরেই রয়েছে ঋজু-উন্নত, উঁচু চূড়াবিশিষ্ট একটি পাহাড়। তার সামনে ঘোড়ায় চড়ে দস্যুদল এসে দাঁড়াল, যাদের প্রত্যেকের কাছে ভারী বস্তা ছিল। তারা ছিল চল্লিশজন। অলিপর্বা আরও দেখল—দলের মধ্যে বিশিষ্ট আকৃতিবিশিষ্ট দলপতি মন্ত্রোচ্চারণ করে গুহার দ্বার খুলে ফেলল এবং তারা প্রত্যেকে গুহার মধ্যে প্রবেশ করলে গুহার দ্বার দ্রুত বন্ধ হয়ে গেল। চুরি করা সামগ্রী গুহার মধ্যে রেখে সেই দস্যুদল মন্ত্রদ্বারা গুহার দরজার পুনরায় বন্ধ করে বনের বাইরে চলে গেল।

(গ) প্রাণসংশয় দূরীভূত হলে অলিপর্বা গাছ থেকে নেমে পাহাড়ের সামনে উপস্থিত হল এবং দস্যু-সর্দারের উচ্চারিত মন্ত্র পাঠ করে গুহার দ্বার উন্মুক্ত করল। গুহার ভিতরে প্রবেশ করে সে দেখল—রাশি রাশি খাদ্যদ্রব্য, দামি চিনা রেশমি বস্ত্র, সোনা-রূপার বাট। তারপর অলিপর্বা চর্মের থলিতে সোনা বোঝাই করে তিনটি গাধার পিঠে চাপিয়ে কাঠ দিয়ে সেগুলিকে ঢাকল। তারপর মন্ত্র পাঠ করে গুহাদ্বার বন্ধ করে তাড়াতাড়ি নগরের পথে যাত্রা শুরু করলো।



[৪] ‘বনগতা গুহা’ পাঠ্যাংশের নামকরণের সার্থকতা লেখ।


[উ] পারস্য গল্পপসাহিত্য ‘সহস্র এক আরব্য রজনী-র উল্লেখযোগ্য একটি গল্প ‘আলিবাবা ও চল্লিশ চোর’-এর সংস্কৃত অনুবাদ করেছেন শ্রীগোবিন্দকৃষ্ণ মোদক। মূল সেই গ্রন্থ ‘চোরচত্বারিংশী কথা’-র প্রথম ভাগের নাম ‘বনগতা গুহা’।

কাহিনি অংশ

(অ) প্রাচীনকালে পারস্যদেশে কশ্যপ ও অলিপর্বা নামে দুই সহোদর ভাই ছিল। তাদের দরিদ্র পিতা নিজের মৃত্যু আসন্ন দেখে দুই পুত্রকে তার সম্পত্তি সমানভাগে ভাগ করে দিয়েছিল। অতঃপর কশ্যপ মহাবণিকের কন্যাকে বিবাহ করে বিলাসপূর্ণ জীবনযাপন করতে লাগল। অন্যদিকে অলিপর্বার শ্বশুর ছিল তারি মতো দরিদ্র। তাই সে অতিকষ্টে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শ্রীহীন কুটিরে বসবাস করতো এবং নিত্য বন থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে নগরে তা বিক্রি করে জীবিকা-নির্বাহ করত।

(আ) প্রতিদিনের মতো অলিপর্বা একদিন জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে বনে গেলে হঠাৎ দূরে আকাশে ধূলিরাশি দেখতে পায়। সে বুঝতে পারে, ঘোড়ায় চড়ে দস্যু বা চোরের দল বনের মধ্যে প্রবেশ করেছে। কারণ, রাজপুরুষেরা এই বনের মধ্যে কদাচ প্রবেশ করে না। তখন অলিপর্বা নিকটের একটি বড়ো বড়ো পাতাযুক্ত বিশাল গাছে চড়ে নিজেকে গোপন করে। গাছ থেকেই অলিপর্বা লক্ষ করে, তার অনতিদূরেই রয়েছে ঋজু-উন্নত, উঁচু চূড়াবিশিষ্ট একটি পাহাড়। তার সামনে ঘোড়ায় চড়ে চল্লিশজনের দস্যুদল এসে দাঁড়াল, যাদের প্রত্যেকের কাছে ভারী বস্তা ছিল। অলিপর্বা আরও দেখল—দলপতি মন্ত্রোচ্চারণ করে গুহার দ্বার খুলে ফেলল এবং তারা প্রত্যেকে গুহার মধ্যে প্রবেশ করলে গুহার দ্বার দ্রুত বন্ধ হয়ে গেল। চুরি করা সামগ্রী গুহার মধ্যে রেখে সেই দস্যুদল মন্ত্রদ্বারা গুহার দরজার পুনরায় বন্ধ করে বনের বাইরে চলে গেল।

প্রাণসংশয় দূরীভূত হলে অলিপর্বা গাছ থেকে নেমে পাহাড়ের সামনে উপস্থিত হল এবং দস্যু-সর্দারের উচ্চারিত মন্ত্র পাঠ করে গুহার দ্বার উন্মুক্ত করল। গুহার ভিতরে প্রবেশ করে সে দেখল—রাশি রাশি খাদ্যদ্রব্য, দামি চিনা রেশমি বস্ত্র, সোনা-রূপার বাট। তারপর অলিপর্বা চর্মের থলিতে সোনা বোঝাই করে তিনটি গাধার পিঠে চাপিয়ে কাঠ দিয়ে সেগুলিকে ঢাকল। তারপর মন্ত্র পাঠ করে গুহাদ্বার বন্ধ করে তাড়াতাড়ি নগরের পথে যাত্রা শুরু করলো।

নামকরণ সার্থক

বনগতা গুহা-র অর্থ হল বনের মধ্যে অবস্থিত গুহা। পাঠ্যাংশের কাহিনি এই গুহাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে। অলিপর্বার ধনপ্রাপ্তি ঘটেছে এই গুহাতেই। অলিপর্বার অবস্থা পরিবর্তনের জন্যেও এই গুহার অবদান রয়েছে বলা যায়। তাই এই গল্পাংশের নামকরণ কাহিনি অনুসারে হয়েছে। এইধরণের নামকরণ হল বিষয়ানুসারী।



[৫] ‘ততঃ পরং দৈবস্যায়ত্তম্‌’—কে কী প্রসঙ্গে ভাবল? তার পরবর্তী ঘটনা লেখ।


[উ] শ্রীগোবিন্দকৃষ্ণ মোদক বিরচিত ‘চোরচত্বারিংশীকথা’ গ্রন্থের প্রথমভাগ ‘বনগতা গুহা’ পাঠ্যাংশের মূল চরিত্র হলো অলিপর্বা। এই রচনায় অলিপর্বার জীবনের নানাদিক উঠে এসেছে।

কে : আলোচ্য গল্পাংশের নায়ক কৌতূহলী অলিপর্বা অলৌকিক গুহার ভিতরের বিষয় জানার প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেছিল।

প্রসঙ্গ : চল্লিশজনের দস্যুদল গুহা-দ্বার বন্ধ করে বন থেকে বেরিয়ে গেলে অলিপর্বার বিশেষ চিন্তার উদয় হয়। সে ভাবতে লাগে মন্ত্রপাঠ করে গুহার দরজা খোলা উচিত হবে কিনা। তারপর ভাগ্যের উপর ছেড়ে আলোচ উক্তিটি বলে।

পরবর্তী ঘটনা : প্রাণসংশয় দূরীভূত হলে অলিপর্বা গাছ থেকে নেমে পাহাড়ের সামনে উপস্থিত হল এবং দস্যু-সর্দারের উচ্চারিত মন্ত্র পাঠ করে গুহার দ্বার উন্মুক্ত করল। গুহার ভিতরে প্রবেশ করে সে দেখল—রাশি রাশি খাদ্যদ্রব্য, দামি চিনা রেশমি বস্ত্র, সোনা-রূপার বাট। তারপর অলিপর্বা চর্মের থলিতে সোনা বোঝাই করে তিনটি গাধার পিঠে চাপিয়ে কাঠ দিয়ে সেগুলিকে ঢাকল। তারপর মন্ত্র পাঠ করে গুহাদ্বার বন্ধ করে তাড়াতাড়ি নগরের পথে যাত্রা শুরু করলো।

শেষকথা : দৈব অনুকূল থাকলে শত বিপদেও সম্পদ লাভ হয়; কিন্তু দৈব প্রতিকূল হলে সবক্ষেতেই বিপত্তি দেখা দেয়। গরিব, অর্থহীন কাঠুরে অলিপর্বা দৈববলেই বিপুল অর্থের অধিকারী হয়েছিল।



[৬] ‘অলিপর্বা স্বস্থানং ন তত্যাজ’—‘স্বস্থানম্‌’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তার স্থান ত্যাগ না করার কারণ কী ছিল?


[উ] পারস্য গল্পসাহিত্য ‘সহস্র এক আরব্য রজনী-র উল্লেখযোগ্য একটি গল্প ‘আলিবাবা ও চল্লিশ চোর’-এর সংস্কৃত অনুবাদ করেছেন শ্রীগোবিন্দকৃষ্ণ মোদক। মূল সেই গ্রন্থ ‘চোরচত্বারিংশী কথা’-র প্রথম ভাগের নাম ‘বনগতা গুহা’—যেখান থেকে উদ্ধৃতিটি গৃহীত।

[১ম অংশ] প্রতিদিনের মতো অলিপর্বা একদিন জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে বনে গেলে হঠাৎ দূরে আকাশে ধূলিরাশি দেখতে পায়। সে বুঝতে পারে, ঘোড়ায় চড়ে দস্যু বা চোরের দল বনের মধ্যে প্রবেশ করেছে। কারণ, রাজপুরুষেরা এই বনের মধ্যে কদাচ প্রবেশ করে না। তখন অলিপর্বা নিকটের একটি বড়ো বড়ো পাতাযুক্ত বিশাল গাছে চড়ে নিজেকে গোপন করে। গাছ থেকেই অলিপর্বা লক্ষ করে, তার অনতিদূরেই রয়েছে ঋজু-উন্নত, উঁচু চূড়াবিশিষ্ট একটি পাহাড়। তার সামনে ঘোড়ায় চড়ে চল্লিশজনের দস্যুদল এসে দাঁড়াল, যাদের প্রত্যেকের কাছে ভারী বস্তা ছিল। অলিপর্বা আরও দেখল—দলপতি মন্ত্রোচ্চারণ করে গুহার দ্বার খুলে ফেলল এবং তারা প্রত্যেকে গুহার মধ্যে প্রবেশ করলে গুহার দ্বার দ্রুত বন্ধ হয়ে গেল। চুরি করা সামগ্রী গুহার মধ্যে রেখে সেই দস্যুদল মন্ত্রদ্বারা গুহার দরজার পুনরায় বন্ধ করে বনের বাইরে চলে গেল। কিন্তু অলিপর্বা কিছুক্ষণ সেই গাছেই বসে ছিল। এটা বোঝাতেই ‘স্বস্থানম্‌’ বলা হয়্বেছে।

[২য় অংশ] অলিপর্বা আশঙ্কা করেছিল—চোরেদের কেউ যদি ভুলে যাওয়া দ্রব্য নিতে আসে এবং তাকে দেখে ফেলে, তাহলে তাকে বন্দি করতে পারে। সেই কারণেই বাস্তব বুদ্ধির অধিকারী অলিপর্বা তার স্থান (যেখানে অলিপর্বা আত্মগোপন করেছিল অর্থাৎ গাছের উপরে) ত্যাগ করে নি।



[৭] অলিপর্বা কীভাবে গুহায় প্রবেশ করেছিল? সে গুহার মধ্যে কোন কোন জিনিস দেখতে পেল নিজের ভাষায় লেখ।


[১ম অংশ] অলিপর্বা বনে কাঠ কাটতে গেলে একদল দস্যুর লোমহর্ষক কার্যকলাপ দেখতে পায়। ঘোড়ায় চড়ে একদল দস্যু পাহাড়ের গুপ্ত গুহার নিকটে উপস্থিত হয় এবং মন্ত্রদ্বারা গুহার দরজা খুলে চুরির সামগ্রী সেখানে রেখে দেয়। গাছের আড়াল থেকে অলিপর্বা সে মন্ত্র আবৃত্তি করে মুখস্থ করে ফেলে। পরে চোরেরা অরণ্য ত্যাগ করলে, অলিপর্বা গুহার সামনে গিয়ে মন্ত্র পাঠ করে—

স্কন্দরাজ নমস্তেহস্তু চৌর্যপাটবদেশিক।

দস্যুদেব দ্বারমিদং বিবৃতং কৃপয়া কুরু।।


--এইভাবে মন্ত্রপাঠ করে অলিপর্বা গুহার মধ্যে প্রবেশ করেছিল।

[২য় অংশ] গুহার ভিতরে প্রবেশ করে সে দেখল—রাশি রাশি খাদ্যদ্রব্য, দামি চিনা রেশমি বস্ত্র, সোনা-রূপার বাট। এত মহামূল্যবান বস্ত্র, অলংকারের পরিসংখ্যা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। এইভাবে দস্যুদের অনেকদিনের সঞ্চিত ধনরত্ন অলিপর্বার হস্তগত হয়েছিল।



[৮] ‘ইতি বিচিন্ত্য সঃ তত্রাবতিষ্ঠৎ’—সঃ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? সে কেন এমন চিন্তা করেছিল? এর থেকে বক্তার কোন চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে?


[১ম অংশ] আলোচ্য উক্তিটিতে ‘সঃ’ বলতে শ্রীগোবিন্দকৃষ্ণ মোদক রচিত ‘বনগতা গুহা’ গল্পাংশের প্রধান চরিত্র অলিপর্বাকে বোঝানো হয়েছে।

[২য় অংশ] দস্যুদল গুহার মধ্যে প্রবেশের পর গুহার দরজা বন্ধ হয়ে যায়। যদিও অলিপর্বা স্থান ত্যাগ করে না অর্থাৎ গাছের ডালেই বসে থাকে। সে চিন্তা করে—যদি সে এখনই গাছে থেকে নেমে বাড়ি যেতে চায়, আর ঠিক সেই সময় চোরেরা গুহার বাইরে বের হয়; তবে তার সমূহ বিপদ হবে, তার প্রাণনাশ হতে পারে। এই ভেবে গাছের শাখাতে বসেই দস্যুদের গতিবিধি লক্ষ করতে থাকে।

[৩য় অংশ] অলিপর্বার এই চিন্তাভাবনার মধ্যে দিয়ে তার বিশেষ একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। অলিপর্বা যে খুব সাবধানী এবং বাস্তব জ্ঞানসম্পন্ন বিচক্ষণ ব্যক্তি তা বোঝা যায়।

 

 

 

 











দ্বাদশ শ্রেণির সংস্কৃতের অন্যান্য লেখা


👉 আর্যাবর্তবর্ননম্‌

👉 বনগতা গুহা

👉 শ্রীগঙ্গাস্তোত্রম্‌

👉 শ্রীমদ্ভাগবতগীতা (কর্মযোগ)

👉 বাসন্তিকস্বপ্নম্‌

👉 ভাবসম্প্রসারণ

👉 সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস

👉 ভাষাতত্ত্ব

👉 সংস্কৃত ব্যাকরণ

👉 অনুচ্ছেদ রচনা



---------------------------------------------------

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা

---------------------------------------------------

দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস

---------------------------------------------------









পিডিএফ লিঙ্ক নিচে 





✅ Go Home Now ✅




আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন








-------------------------------------------------------------
File Name : বনগতাগুহা থেকে ৮টি বড়ো প্রশ্ন রচনাধর্মী প্রশ্ন

File Format : পিডিএফ

File Language : বাংলা

File Location : গুগল ড্রাইভ

Download Link :  বনগতাগুহা থেকে ৮টি বড়ো প্রশ্ন রচনাধর্মী প্রশ্ন
-------------------------------------------------------------







Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url