Join Telegram Join Facebook বাংলা রচনা
সাহিত্যের ইতিহাস সাজেশান Question-Paper
WBCS স্কুল নোটস ইতিহাস

বাঙালির বিজ্ঞানচর্চা থেকে বড়ো প্রশ্ন রচনাধর্মী প্রশ্ন ২০২২ | দ্বাদশ শ্রেণি | Bangalir Biggan Charcha 2022 | Long Question Answer | PDF Download

বাঙালির বিজ্ঞানচর্চা থেকে বড়ো প্রশ্ন রচনাধর্মী প্রশ্ন ২০২২  | দ্বাদশ শ্রেণি | Bangalir Biggan Charcha 2022 | Long Question Answer | PDF Download










যে প্রশ্নগুলি রয়েছে(toc)







প্রশ্ন ১—জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞানচর্চার পরিচয় দাও।


সূচনা—

“ভারতের কোনও বৃদ্ধ ঋষির তরুণ মুর্তি

তুমি হে আর্য আচার্য জগদীশ”

--এমনটাই বলেছিলেন ঋষিতুল্য বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু সম্পর্কে আর এক বিখ্যাত বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার প্রসঙ্গ উঠলেই যেসব বাঙালিদের প্রসঙ্গ আগে আসবে তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৮-১৯৩৭)। তিনি একজন বাঙালি পদার্থবিদ, জীববিজ্ঞানী এবং কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা। বিজ্ঞানচর্চায় তিনি সমকালীন ভারতীয়দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।



শিক্ষা ও গবেষণা—জগদীশচন্দ্র বসু পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়ে বি.এ. পাস করার পরে বিলেতে যান ডাক্তারি পড়তে। ১৮৮৪ সালে বি.এসসি পাস করে দেশে ফিরে আসেন। জগদীশচন্দ্রের প্রথম দিকের গবেষণার বিষয় ছিল তারের সাহায্য ছাড়াই খবর বা সংকেত কীভাবে পাঠানো যায় তাই নিয়ে। দিনের পর দিন প্রচুর পরিশ্রম করে তিনি এমন একটি যন্ত্র তৈরি করলেন যাতে তিনি এতদিন ধরে যা চাইছিলেন তা করা সম্ভব হল। ওই যন্ত্রের সাহায্যে কোনো তার ছাড়াই এক ঘর থেকে দূরের আর এক ঘরে সংকেত পাঠানো সম্ভব হল। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ, তারই সাহায্যে জগদীশচন্দ্র এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি করেছিলেন। তাঁর এই গবেষণার জন্য তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডক্টর অব সায়েন্স’ উপাধি লাভ করেন। 

জগদীশচন্দ্র এরপর উদ্ভিদের চেতনা অনুভূতি নিয়ে গবেষণা করতে থাকেন। সারা পৃথিবীকে দেখিয়ে দেন যে গাছেরও চেতনা আছে, কষ্ট আছে, যন্ত্রণা আছে। ব্রোমাইড নামে একরকম বিষ লাগিয়ে দিলে উদ্ভিদ কীভাবে প্রথমে যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যায় আর তারপর ধীরে ধীরে মরে যায় তা তিনি সকলের নজরে আনেন। এইসব পরীক্ষার জন্য আবিষ্কার করেছিলেন ‘ক্রেসকোগ্রাফ’ নামক যন্ত্র।



সম্মাননা—দেশবিদেশের নানা সম্মান লাভ করেছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু। তিনি লন্ডনের ‘রয়াল সোসাইটির ফেলো’ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।


কৃতিত্ব—১৯১৭ সালে তিনি বিজ্ঞানের চর্চা আর গবেষণার জন্যে 'বসু বিজ্ঞান মন্দির' নামে একটি সংস্থা তৈরি করেন কলকাতায়। আমাদের দেশের গৌরব যাঁরা বাড়িয়েছেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু তাঁদেরই একজন। তাঁর ছাত্রদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীকালে বিজ্ঞানী হিসেবে বিখ্যাত হয়েছেন।

 তাঁর বাংলা রচনা ‘অব্যক্ত’য় তাঁর শিল্পী মনের যথাযথ আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। তাঁর অন্যান্য রচনার মধ্যে রয়েছে 'Physiology of Photosynthesis', 'Nervous mechanism of Plants' ইত্যাদি। তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ক্রেসকোগ্রাফ, স্ফিগ্‌মোগ্রাফ, পোটোমিটার ও ফোটোসিন্থেটিক বাবলার নামক কয়েকটি স্বয়ংলেখ যন্ত্র আবিষ্কার করেন।





প্রশ্ন ২—প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের বিজ্ঞানচর্চার পরিচয় দাও।



ভূমিকা--প্রফুল্লচন্দ্র রায় (১৮৬১-১৯৪৪) ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ, শিক্ষক, দার্শনিক। পূর্বতন যশোর জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বনেদি পরিবারের সন্তান হওয়ায় শিশু বয়স থেকেই সমস্ত বিষয়ে তিনি ছিলেন তুখোড়।



শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবন—প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ পাস করার আগেই গিলক্রাইস্ট বৃত্তি হয়ে ১৮৮২ সালে বিলেতে যান। সেখানে বি এসসি পাস করেন এবং ১৮৮৭ সালে রসায়নশাস্ত্রে মৌলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ গবেষণার জন্য এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি ডিগ্রি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হোপ পুরস্কার পান।

১৮৮৮ সালে দেশে ফেরেন। পরের বছর সহকারী অধ্যাপক হিসেবে প্রেসিডেন্সি কলেজে যোগ দেন। শুরু হয় তাঁর শিক্ষক ও গবেষকজীবন। এরপর ১৯৩৭ সালে ৭৫ বছর বয়সে তিনি যখন পরিপূর্ণ অবসর নিতে চাইলেন, তখন উপাচার্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তাঁকে এমিরিটাস অধ্যাপক হিসাবে রসায়নের গবেষণাকর্মের সঙ্গে যুক্ত রাখেন।

বিজ্ঞান কলেজে যোগ দিয়ে তিনি কলেজেরই দোতলার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের একটি ঘরে থাকতেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ওই ঘরে কাটিয়েছেন। কলেজে সব সময় ৮-১০ জন ছাত্র গবেষণার কাজে তাঁর কাছে থাকতেন।



কৃতিত্ব—প্রফুল্লচন্দের প্রথম মৌলিক গবেষণা খাবারে ভেজাল নির্ণয়ের রাসায়নিক পদ্ধতি উদ্ভাবন-সংক্রান্ত। তাঁর যুগান্তকারী আবিষ্কার মারকিউরাস নাইট্রাইট। এ ছাড়া পারদ-সংক্রান্ত ১১টি মিশ্র ধাতু আবিষ্কার করে তিনি রসায়ন জগতে বিস্ময় সৃষ্টি করেন। গবাদি পশুর হাড় পুড়িয়ে তাতে সালফিউরিক অ্যাসিড যোগ করে তিনি সুপার ফসফেট অব লাইম তৈরি করেন।

শুধু গবেষণা নয়, গবেষণার ফল কাজে লাগানোর জন্য তিনি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা করেছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস’।

ভারতে বিধিবদ্ধ সমবায় আইন চালু হলে ১৯০৬ সালে তিনি রাঢুলি এবং এর আশপাশের গ্রামের মানুষকে জড়ো করে ৪১টি কৃষি ঋণদান সমবায় সমিতি গড়ে তোলেন। চিরকুমার প্রফুল্লচন্দ্রের জীবন ছিল অনাড়ম্বর। ছাত্রদের সঙ্গে ছিল নিবিড় বন্ধুত্বের সম্পর্ক।

১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রেরণায় ও অর্থসাহায্যে ‘ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটি' প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতীয় শিক্ষা এবং শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রে তিনি অকৃপণভাবে সাহায্য করেন। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা প্রবর্তনের একজন প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন।

তাঁর আত্মচরিত 'Life and Experiences of a Bengali Chemist' ছাড়াও তিনি ‘বাঙ্গালীর মস্তিষ্ক ও তাহার অপব্যবহার', 'অন্নসমস্যায় বাঙ্গালীর পরাজয় ও তাহার প্রতিকার, "History of Hindu Chemistry' প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করেন।







প্রশ্ন ৩—চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিধানচন্দ্র রায়ের কৃতিত্বের পরিচয় দাও।



কথামুখ--বিধানচন্দ্র রায়ের (১৮৮২-১৯৬২) জন্ম বিহারের পাটনায়। আদি নিবাস টাকি, শ্রীপুর, উঃ ২৪ পরগনায়। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর পিতার তত্ত্বাবধানে মহত্তর মানবসেবার আদর্শেই বিধানচন্দ্রের জীবনের ভিত্তি প্রস্তুত হয় ৷

বিধানচন্দ্র কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১৯০৬ সালে এল. এম. এস. ও এম. বি. পাশ করেন এবং ১৯০৮ সালে এম.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। উচ্চশিক্ষার্থে ১৯০৯ সালে বিলেত গিয়ে মাত্র দু’বছরের মধ্যে এম.আর.সি.পি. (লন্ডন) এবং এফ. আর. সি. এস. পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়ে দেশে ফিরে আসেন।

ছাত্র হিসাবে তাঁর কৃতিত্বের দৃষ্টান্ত-ই পরবর্তীকালে লন্ডনের বার্থলোমিউ কলেজের মতো শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে ভারতীয় ছাত্রদের অধ্যয়নের দরজা খুলে দেয়।



কৃতিত্ব—দেশে ফেরার পর তিনি ১৯১১ সালে জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রেরণায় রাধাগোবিন্দ কর প্রতিষ্ঠিত ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষকের দায়িত্ব নেন। তখন এই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তিত হয়ে ক্যাম্বেল মেডিক্যাল স্কুল রাখা হয়েছিল। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে রায় কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজে মেডিসিনের অধ্যাপকের পদ গ্রহণ করেন।

১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি রয়্যাল সোসাইটি অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজেন এবং ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকান সোসাইটি অফ চেস্ট ফিজিশিয়ান-এর ফেলো নির্বাচিত হন। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের পর জাতীয় শিক্ষা পরিষদের সভাপতি হয়ে যাদবপুর ইউনিভার্সিটি বিল পাশ করিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে এক বিপ্লব আনেন তিনি। কলকাতা পুরসভার মেয়র, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের অভিজ্ঞতাই তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার জন্য প্রস্তুত করে দিয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রশাসনিক এবং উন্নয়নমূলক কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও চিকিৎসক ও শিক্ষকের দায়িত্ব পালনে কখনো কোনো অনীহা দেখা যায়নি তাঁর মধ্যে। আই আই টি খড়গপুর এবং দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের সদর দপ্তর পশ্চিমবঙ্গে স্থাপন করানোর জন্য জওহরলাল নেহরুকে রাজি করানোর কৃতিত্বও বিধানচন্দ্রের প্রাপ্য।

তিনি শিলং হাইড্রো ইলেকট্রিক কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন। জাহাজ, বিমান ও ইনসিওরেন্স ব্যবসায়ের সঙ্গে তার যোগ ছিল। দুর্গাপুর অঞ্চলকে একটি বৃহৎ শিল্প এলাকায় পরিণত করার ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। কল্যাণী শহরকে কলকাতার বিকল্প এক উপনগরী হিসাবে গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল দূরদর্শী বিধানচন্দ্রের।

কিংবদন্তী এই চিকিৎসক, শিক্ষক ও দেশসেবক ভারতরত্নে ভূষিত হন ১৯৬১ সালে। ১৯৬২ সালের ১ জুলাই নিজের জন্মদিনেই প্রয়াত হন বিধানচন্দ্র। এই দিনটিকে এখন যথোচিত মর্যাদার সঙ্গে চিকিৎসক দিবস হিসাবে পালন করা হয়ে থাকে।







প্রশ্ন ৪—বিজ্ঞানে মেঘনাদ সাহার অবদান লেখ।



সূচনা--মেঘনাদ সাহা (১৮৯৩-১৯৫৬): 'সারা বিশ্বের বিজ্ঞান মহলে মেঘনাদ সাহা নিঃসন্দেহে জয় করে নিয়েছেন একটা সম্মানজনক স্থান’-- বলেছেন স্বয়ং আইনস্টাইন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি এন্ট্রাব্দ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ঢাকা কলেজ থেকে আই এস সি-তে তৃতীয় এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে গণিতে অনার্সসহ বি এসসি-তে দ্বিতীয় এবং ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে এম এসসি পরীক্ষায় ফলিত গণিতে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় হন। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে নবগঠিত বিজ্ঞান কলেজে অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন। এখানে গবেষণা করে ডি এস সি ও পি আর এস হন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল রিলেটিভিটি, প্রেশার অফ লাইট ও অ্যাস্ট্রোফিজিক্স।

বিজ্ঞানে অবদান—

(১) ফিলজফিক্যাল ম্যাগাজিনে ১৯২০ সালে প্রকাশিত হয় 'On lonization in the Solar Chromosphere' (সূর্যের বর্ণমণ্ডলে আয়নকরণ) শিরোনামে তাঁর ‘তাপ আয়নকরণতত্ত্ব’, যা জ্যোতিঃ পদার্থবিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত সূচনা করে। এই তত্ত্বটিই পরে ‘সাহার সমীকরণ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। গ্যালিলিওর পরে জ্যোতির্বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ দশটি আবিষ্কারের মধ্যে মেঘনাদ সাহার এই আবিষ্কার অন্যতম। গবেষণার দ্বারা তাঁর আবিষ্কৃত তত্ত্বের ব্যবহারিক প্রয়োগ প্রদর্শনের জন্য তিনি লন্ডন ও বার্লিন থেকে আমন্ত্রণ লাভ করেন। দু'বছর পর ফিরে এসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে প্রথম 'খয়রা অধ্যাপক' হিসেবে নিযুক্ত হন।

(২) সায়েন্স অ্যান্ড কালচার পত্রিকা মারফত দামোদর উপত্যকা সংস্কার, বন্যা প্রতিরোধ ও নদী পরিকল্পনা প্রভৃতি বিচিত্র বিষয়ে গবেষণা তাঁর বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় বহন করে। ভারতীয় নদীগুলোর প্রায় চিরস্থায়ী বন্যা সমস্যা নিয়ে সারা জীবনই তিনি গভীরভাবে চিন্তা করেছেন।

(৩) মেঘনাদ সাহার অন্য একটি উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর কথামতো ভারতীয় বর্ষপঞ্জির সংস্কার। ১৯৫২ সালে ভারত সরকার এই বর্ষপঞ্জির সংস্কারের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। এই বর্ষপঞ্জি সংস্কার কমিটিতে মেঘনাদ সাহা ছিলেন সম্ভবত একমাত্র বৈজ্ঞানিক।


অন্যান্য অবদান—মেঘনাদ সাহা গড়ে তোলেন ‘ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স' (১৯৪৮)। 'ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স' এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা। তাঁরই চেষ্টায় ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দি কালটিভেশন অফ সায়েন্স ও গ্লাস সেরামিক রিসার্চ ইন্সটিটিউট ভারতে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

মেঘনাদ সাহার লেখা বইগুলির মধ্যে রয়েছে 'The Principle of Relativity Treatise on Heat, Treatise on Modern Physics, Junior Textbook of Heat with Meteorology' প্রভৃতি।


সম্মাননা--তাঁর গবেষণার স্বীকৃতি স্বরূপ লন্ডনের রয়েল সোসাইটি তাঁকে ফেলোশিপ প্রদান করেন।





-------------------------------

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা থেকে অন্য প্রশ্ন

------------------------

ক্লাস ১২ এর অন্যান্য বিষয়ের লেখ

---------------------------

PDF Download Link নিচে

------------------------




আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন

👇👇👇👇


Join Telegram (demo)

Join Facebook (open)








---------------------

PDF LINK

---------------------

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url