Join Telegram Join Facebook বাংলা রচনা
সাহিত্যের ইতিহাস সাজেশান Question-Paper
WBCS স্কুল নোটস ইতিহাস

বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | পর্ব-৩ | দশম শ্রেণি | Bengali Model Activity 2021 Class 10 | Part 3 | PDF Download

বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | পর্ব-৩ |  দশম শ্রেণি | Bengali Model Activity Task 2021 Class 10 | Part 3 | PDF Download





নিচে অ্যাক্টিভিটি টাস্কের উত্তর দেওয়া হলো---




১। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ :

১.১ ‘জগদীশবাবু যে কী কান্ড করেছেন, শোনেননি হরিদা?’—জগদীশ বাবু কে? কাণ্ডটি কী? ১+২

[উ]

[] সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে জগদীশ বাবু হলেন একজন ধনী ব্যাক্তি, যিনি সাধু-সন্ন্যাসীর প্রতি খুবই দুর্বল।

[] ধনবান জগদীশবাবুর বাড়িতে হিমালয়-ফেরত এক সন্ন্যাসীর গল্প করেছিলেন হরিদার বন্ধুরা। জগদীশবাবু সেই সন্ন্যাসীর পায়ে সোনার বোল লাগানো খড়ম দিয়ে পদধূলি নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সেই সন্ন্যাসীর থলিতে জোর করে একশো টাকার নোটও দিয়েছেন। জগদীশবাবুর এই কান্ডের কথাই এখানে বলা হয়েছে।



১.২ ‘খুবই গরিব মানুষ হরিদা’—হরিদার পরিচয় দাও। তাঁর দারিদ্র্যের ছবি ‘বহুরূপী’ গল্পে কিভাবে প্রতিভাসিত হয়েছে? ১+২

[উ]

[] সুবোধ ঘোষ বিরচিত ‘বহুরূপী’ গল্পের বহুরূপী হলেন হরিদা, যিনি এই গল্পের মূল চরিত্র।

[] গল্পে দেখা যায় হরিদার আর্থিক অবস্থা খুব ভালো নয়। বহুরূপীর পেশায় খুব বেশি আয় হয় না। সপ্তাহের দু-একদিন বহুরূপীর সাজে যা আয় হয়, তাতে কোনোমতে হরিদার সংসার চলে যায়। হরিদা নির্লোভ মানুষ, সেইকারণে অসৎ উপায়ে হরিদা বেশি আয়ের ধান্দায় যায় না। শুধু তাই নয়, হরিদার বন্ধুরা যখন আসে, তখন তারা প্রয়োজনীয় চা-দুধ-চিনি নিয়েই আসে। এগুলির মাধ্যমে হরিদার দারিদ্র্যের পরিচয় পাওয়া যায়।



১.৩ ‘কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজি/এ ভবনে?’—বক্তা কাকে মাতঃ সম্বোধন করেছেন? তিনি এই প্রশ্নের কী উত্তর দিয়েছেন? ১+২

[উ]

[] মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘অভিষেক’ কাব্যাংশে উদ্ধৃতিটি ইন্দ্রজিৎ ধাত্রী-প্রভাষার ছদ্মবেশী লক্ষ্মীকে ‘মাতঃ’ বলে সম্বোধন করেছেন।

[] প্রভাষা-ছদ্মবেশী লক্ষ্মী ইন্দ্রজিতকে তার আসার কারণ জানান। তিনি ইন্দ্রজিতের ভ্রাতা বীরবাহুর রামচন্দ্র কর্তৃক মৃত্যুর সংবাদ জানান। এবং শোকে আচ্ছন্ন রাবণ পুত্রহত্যার প্রতিশোধ নিতে রণসজ্জায় সজ্জিত হচ্ছেন—তাও জানান।



১.৪ ‘এ মায়া, পিতঃ, বুঝিতে না পারি!’—বক্তা কে? কোন্‌ মায়া তার বোধের অগম্য? ১+২

[উ]

[] অংশটির বক্তা মধুসূদন দত্তের ‘অভিষেক’ কাব্যাংশের ইন্দ্রজিৎ, রাবণের পুত্র।

[] রামচন্দ্র ইন্দ্রজিতের হাতে নিহত হয়েও পুনরায় জীবিত হয়েছেন। এ ঘটনা মায়ার ছলনা বলে মনে হয়েছে ইন্দ্রজিতের। মৃত ব্যাক্তির পুনর্জীবন লাভ এতটাই অস্বাভাবিক যে তা বুদ্ধি দিয়ে বিচার করা যায় না। এই ধরনের ঘটনা তাই বুদ্ধির অগম্য, মায়ার ছলনা—যা সাধারণ বুদ্ধি দিয়ে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়।



১.৫ ‘..ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা!’—কার প্রতি এরূপ মন্তব্য? বক্তা কোন পরিস্থিতিতে এই মন্তব্যটি করেছেন? ১+২

[উ]

[] শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশে নবাব সিরাজদ্দৌলা ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটস-এর প্রতি এরূপ মন্তব্য করেছে।

[] নবাব সিরাজদ্দৌলা ও ইংরেজদের মধ্যে আলিনগরের সন্ধি সাক্ষরিত হয়েছিল। অথচ ইংরেজরা সন্ধির শর্তাবলি লঙ্ঘন করে সৈন্যসজ্জা করেছিল। এছাড়া নবাব সিরাজের প্রতি ইংরেজদের অবজ্ঞা, বিভিন্ন শর্ত না মানা প্রভৃতি আচরণে বিরক্ত নবাব এই মন্তব্য করেছিল।



১.৬ ‘মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন, ওর অঙ্গ-সঞ্চালনে ভূমিকম্প’—উদ্ধৃতিটির আলোকে ঘসেটি বেগমের চরিত্র বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। ৩

[উ]

[] আলোচ্য উদ্ধৃতির বক্তা শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘সিরাজদৌল্লা’ নাটকের সিরাজের পত্নী লুৎফা বা লুৎফুন্নিসা।

[] আলোচ্য উক্তির মধ্যে দিয়ে সিরাজের মাস ঘসেটি বেগমের চরিত্র বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়। ঘসেটি বেগমকে নবাব সিরাজদৌল্লা মায়ের স্থান দিয়ে রাজপ্রাসাদে রেখেছিলেন। কিন্তু ঘসেটি বেগম প্রতিহিংসা কখনোই ভোলেননি। প্রতিহিংসার বশে তিনি নবাবের ক্ষতি চান, মৃত্যু চান। ইংরেজদের তিনি সমর্থন করেন। পলাশির প্রান্তরে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু হয়, তখন ঘসেটি বেগম খুশি হন এবং নবাবের পরাজয় কামনা করেন। আত্মীয় হয়েও ঘসেটি বেগম শত্রুর মতো আচরণ করেছেন—সেই শত্রুতার কথা বোঝাতেই বক্তা এমন মন্তব্য করেছেন।



১.৭ ‘আলো তার ভরবে এবার ঘর’—কোন্‌ আলোয় ঘর ভরে উঠবে? ৩

[উ]

[] বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ধ্বংস ও সৃষ্টির যুগপৎ প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে।

[] জগৎ জুড়ে প্রলয়ের প্রলয়ের আবহে সমস্ত জরাজীর্ণতা ধ্বংস হবে এবং দীর্ঘ মহানিশার শেষে উদিত হবে অরুণ আলোর উষা। অর্থাৎ ধ্বংসের পরে সৃষ্টি—বিশ্বের এই নিত্য লীলা প্রত্যক্ষ করা গেছে। কবি দেখেছেন, জরাজীর্ণতা, স্থবিরতা, স্তব্ধতা কেটে গিয়ে উষার নতুন আলোয়, শিশু-চাঁদের হাস্যোচ্ছ্বল আলোয় প্রতিটি গৃহ আলোকোজ্জ্বল হয়ে উঠবে।



১.৮ ‘...আসছে ভয়ংকর’—ভয়ংকরের আগমন পরিস্থিতি ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসরণে আলোচনা কর। ৩

[উ]

[] কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ভয়ংকর রুদ্রের আসার ইঙ্গিত করা হয়েছে। এই ভয়ংকরের আগমন পরিস্থিতি কবিতায় বর্ণিত হয়েছে।

[] কবি কালবৈশাখী রূপে কাল-ভয়ংকরের আগমন বার্তা ঘোষণা করেছেন। ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ, অবজ্ঞা-উৎপীড়ন এবং মুক্তি সংগ্রামীদের প্রতি নির্যাতনের প্রতিকারের জন্য আসছেন মহাকাল-সারথি। বজ্রগানের ঝড় তুফানে হ্রেষার ক্রন্দনধ্বনি শোনা যাচ্ছে। কবি শুনেছেন রথের চাকার ঘর্ঘর ধ্বনি। সে আসছে ভয়ংকর বেগে। সমকালীন প্রেক্ষাপটে দিকে দিকে যে বৈপ্লবিক অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল ভারতবর্ষেও তার প্রভাব লক্ষিত হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতেই ভয়ংকরের আগমনবার্তা ঘোষিত হয়েছে।



১.৯ ‘অপূর্ব কহিল, বেলা হয়ে গেল, আমি এখন তবে চললুম কাকাবাবু’—বেলা কীভাবে গড়িয়ে গেল? ৩

[উ]

[] অংশটি নেওয়া হয়েছে কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশ থেকে।

[] অপূর্বের গৃহে চুরির হয়েছিল বলে, অপূর্ব তার পূর্বপরিচিত পুলিশকর্তা নিমাইবাবুকে জানাতে থানায় এসেছিল। কিন্তু থানাতে বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে অপূর্বের মূল উদ্দেশ্য অব্যক্ত থেকে যায়। থানায় প্রবেশ করেই অপূর্ব দেখে বর্মা অয়েল কোম্পানির কয়েকজন কর্মীকে ধরে আনা হয়েছে। গিরীশ মহাপাত্র নামক একজনকে সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আনা হয়েছে। তার অদ্ভূত পোশাক ও কর্মীসুলভ কথাবার্তায় অপূর্ব এতটাই মজা পেয়েছিল যে, তার আসার উদ্দেশ্য বলতে ভুলে যায়। ক্রমে অনেকটাই সময় অতিবাহিত হয়ে যায় গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে পুলিশের কথোপকথনে। ঘটনাক্রমে বেলা অনেকটাই গড়িয়ে যায়।



১.১০ ‘কৈ এ ঘটনা তো আমাকে বলেননি?’—বক্তা কাকে একথা বলেছেন? কোন ঘটনার কথা বক্তা আগে শোনেননি? ১+২

[উ]

[] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনার্ন্তগত আলোচ্য অংশটি বক্তা রামদাস তলওয়ারকর, অপূর্বকে উদ্দেশ্য করে তিনি একথা বলেছিলেন।

[] অপূর্ব জানায়, পূর্বে নিজের দেশের প্ল্যাটফর্মে একদল ফিরিঙ্গি যুবক অপূর্বকে লাথি মেরেছিল। তারপর বিদেশি স্টেশন মাস্টারের এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে, স্টেশন মাস্টার এই ঘটনা কানে না নিয়ে উলটে অপূর্বকেই কটুক্তি করে বিতাড়িত করেন। এই লজ্জাজনক ঘটনার কথাই এখানে বলা হয়েছে।



২. ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো (প্রতিটির মান - ১)


ভোজ্যবস্তু = ভোজ্য যে বস্তু [সাধারণ কর্মধারয় সমাস]

পোশাক-পরিচ্ছদ = পোশাক ও পরিচ্ছদ [দ্বন্দ্ব সমাস]

সন্ধ্যাহ্নিক = সন্ধ্যাকালীন আহ্নিক [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

সৃজন-বেদন = সৃজনের নিমিত্ত বেদন [নিমিত্ত তৎপুরুষ]

প্রলয়োল্লাস = প্রলয় কালীন উল্লাস [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

রথঘর্ঘর = রথের ঘর্ঘর [সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস]

জয়ধ্বনি = জয় সূচক ধ্বনি [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

সিংহদ্বার = সিংহ চিহ্নিত দ্বার [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

শিশু-চাঁদ = চাঁদ শিশুর ন্যায় [উপমিত কর্মধারয়] / শিশুরূপ চাঁদ [রূপক কর্মধারয়]

প্রলয়-নেশা = প্রলয় রূপ নেশা [রূপক কর্মধারয়]



৩. কমবেশি ১৫০ শব্দে প্রতিবেদন রচনা করো :



লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের

বিশেষ প্রতিনিধি, ইংল্যান্ড : সাত বছর পর লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৫১ রানে হারালো বিরাট কোহলির ভারত। ভারতীয় দল ইংল্যান্ডে শেষ টেস্ট সিরিজ জিতেছে ২০০৭ সালে। শেষদিনে রুদ্ধশ্বাস ক্রিকেট দেখা গেল। ইংল্যান্ডকে দুরমুশ করলেন ভারতীয় পেসাররা। ১২০ রানেই গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ড। শেষ তিন উইকেটও পড়ল ১২০ রানেই। লর্ডসে আবার এক মহারণ এবং ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিক্রমের সামনে ইংল্যান্ডের অসহায় আত্মসমর্পন। লর্ডসের বাইশ গজে ব্যাটে ও বলে কর্তৃত্ব করে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ভারত। রুটের ইংল্যান্ড চতুর্থ ইনিংসের চাপ সহ্য করতে পারেনি। এই চাপ তৈরির পিছনে ছিল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে নবম উইকেটে যশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ শামির ৮৯ রানের পার্টনারশিপ। শামি করেছেন ৫৬। বুমরা ৩৪। গাভাসকার যা দেখে বলেছেন, সিংহহৃদয়ের সিংহবিক্রম। ফলে ৬০ ওভারে ইংল্যান্ডকে ২৭১ রান করতে হতো। কিন্তু মহম্মদ সিরাজ, ইশান্ত শর্মা, বুমরা ও শামির আগুনে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারল না ইংল্যান্ড। ১২০ রানে অলআউট তারা।

ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার শূন্য রানে আউট হন। চা পানের বিরতিতে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল চার উইকেটে ৬৭। পরের পর্বে ছয় উইকেট তুলে নেয় ভারত। রুট ৩৩ রানে ফিরে যাওয়ার পর বোঝা যাচ্ছিল, ম্যাচ বাঁচানো শক্ত হবে ইংল্যান্ডের। তাই হলো। সিরাজ চারটি, বুমরা তিনটি, ইশান্ত দুইটি ও শামি একটি উইকেট পান। এইভাবে ঘটে যায় স্মরণীয় জয় ভারতের।




পিডিএফ লিঙ্ক নিচে



------------------------
------------------------









--------------------------------

Download PDF

--------------------------------

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url