নীলধ্বজের প্রতি জনা সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর ২০২৩ | একাদশ শ্রেণি বাংলা | Niladhwajer Prati Jana Class XI 2023 MCQ SAQ PDF
নীলধ্বজের প্রতি জনা সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর ২০২৩ | একাদশ শ্রেণি বাংলা | Niladhwajer Prati Jana Class XI 2023 MCQ SAQ PDF
একাদশ শ্রেণির কবিতা সংকলনের মধ্যে মধুসূদন দত্তের 'নীলধ্বজের প্রতি জনা' পত্রকবিতা একটি অন্যতম কবিতা। পরীক্ষা উপযোগী সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর এখানে আলোচিত হলো।
প্রশ্নমান – ১
· মধুসূদন দত্ত -– ১৮২৪ – ১৮৭৩
· কবিতাটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
· উৎস – বীরাঙ্গনা কাব্য। কবিতাটি এই কাব্যের একাদশ সর্গের অন্তর্গত। অর্থাৎ ১১তম পত্র।
· মাহেশ্বরী পুরীশ্বর – রাজা নীলধ্বজ
· পান্ডুরথী – অর্জুন
· কুলটা নারী – কুন্তী
· সত্যবতী – ধীবর কন্যা, ব্যাসদেবের মাতা
· খান্ডব – একটি বন
· শিখণ্ডী – দ্রুপদ রাজার পুত্র, দ্রৌপদীর দাদা / পূর্বজন্মে ছিলেন অম্বা
· মহারথী-প্রথা – যুদ্ধের প্রকৃত নিয়ম
· কৌন্তেয় – কুন্তীর পুত্র, এখানে অর্জুন
- আনায় - জাল / ফাঁদ
বীরাঙ্গনা সমাস :
বীরের অঙ্গনা -- তৎপুরুষ সমাস
বীর যে অঙ্গনা -- কর্মধারয় সমাস
প্রতিবিধিৎসিতে |
প্রতিবিধান
করতে |
ফাল্গুনী
/ কিরীটি / পার্থ |
অর্জুন |
লোহে
|
রক্তে
|
টুট
|
ভেঙে
ফেল |
স্বৈরিণী
|
স্বেচ্ছাচারী
নারী |
হৃষীকেশ
|
বিষ্ণু
|
দ্বৈপায়ন
ঋষি |
ব্যাসদেব
|
পীতাম্বর
|
শ্রীকৃষ্ণ
|
ইন্দিরা
|
লক্ষ্মী
|
পাঞ্চালী
|
দ্রৌপদী
|
মৃগেন্দ্র
|
সিংহ
|
ভালে
|
কপালে
|
কুরিঙ্গী |
হরিনী
|
প্রভঞ্জন
|
বাতাস |
বাম
|
বিমুখ
|
বিজন
|
মনুষ্যহীন
|
বিবরে
|
গর্তে
|
ক্ষত্রকুলবালা |
ক্ষত্রিয়
কুলের মেয়ে |
ক্ষত্র-কুলবধূ |
ক্ষত্রিয়
কুলের বধূ |
জাহ্নবী
|
গঙ্গা |
কৃতান্তনগর
|
যমপুরী |
মহেষ্বাস |
মহা
ধনুর্ধর |
পুত্রহা
|
পুত্রের
হত্যাকারী |
নলিনী
|
পদ্ম |
নির্বাচন-ধর্মী প্রশ্ন
উ-- কাশীরাম দাসের লেখা মহাভারত (ভারত পাঁচালি) থেকে পেয়েছেন।
[] এই পত্র কবিতার উপাদান মহাভারতের কোন পর্বে আছে ?
উ- অশ্বমেধ পর্বে [১৪তম সর্গ]।
[] জনা তাঁর স্বামীকে অভিশাপ দিয়েছে কেন ?
উ- জনার স্বামী পুত্রহন্তাকে মিত্র করেছেন বলে।
[] নীলধ্বজ নর-নারায়ণ জ্ঞানে কাকে পুজো করছেন ?
উ- অর্জুনকে।
[] ‘ছদ্মবেশে লক্ষরাজে ছলিল দুর্মতি’ – কে কার স্বয়ম্বরে ছলনা করেছিল ?
উ- অর্জুন দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভায় ছলনা করেছিল।
[] কবিতায় কাকে 'চন্ডাল' ও কাকে 'ব্রাহ্মণ' বলা হয়েছে ?
উ- অর্জুনকে চন্ডাল এবং নীলধ্বজকে ব্রাহ্মণ বলে উল্লেখ করেছেন জনা।
[] কর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে বিফল হলেন কিভাবে ?
উ- কৃষ্ণের কৌশলে।
[] পার্থ খান্ডব দহনে সফল হয়েছিলেন কেন ?
উ- কৃষ্ণের সহায়তায়।
[] পিতামহ ভীষ্মের মৃত্যু হয়েছিল কেন ?
উ- শিখন্ডীর সাহায্যে পার্থ ভীষ্মকে বধ করেছিলেন।
[] ‘এ জনাকীর্ণ ভবস্থল আজি বিজন জনার পক্ষে’ – কারণ কী ?
উ- কারণ জনার একমাত্র পুত্রের মৃত্যু হয়েছে।
[] এই কবিতায় তথা কাব্যে কোন বিদেশি কবির কাব্যের ছায়া আছে ?
উ- রোমক কবি ওভিদ এবং তাঁর কাব্য ‘হিরোয়িক এপিসল’ [Heroic Epistle]।
[] আলোচ্য পত্র-কবিতার উৎস কী ?
উ- বীরাঙ্গনা কাব্য। ১৮৬২ সাল।
[] বীরাঙ্গনা কী ধরনের কাব্য ?
উ- পত্রকাব্য।
[] জনার অভিশাপ কার বিরুদ্ধে ?
উ- পার্থের বিরুদ্ধে।
[] ফাল্গুনী কে ?
উ- পার্থ অর্থাৎ অর্জুন।
[] ‘মহেষ্বাস’ কথার অর্থ কী ?
উ- মহা ধনুর্ধর।
[] ইন্দিরা কে ?
উ- লক্ষ্মী।
[] কুরঙ্গী –এর অর্থ কী ?
উ- হরিণ।
[] ‘যুঝিতে’ পদের অর্থ কী ?
উ- যুদ্ধ করতে।
[] কৃতান্ত নগর বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
উ- যমপুরীকে বুঝিয়েছেন।
[] পুত্রহা পদের অর্থ লেখ।
উ- পুত্রহন্তা।
[] ‘শাশুড়ির যোগ্য বধূ’ – শাশুড়ি ও বধূ কারা ?
উ- শাশুড়ি হলেন কুন্তি এবং বধূ হলেন পান্ডবদের স্ত্রী দ্রৌপদী।
[] কবিতায় 'কুলাচার্য্য' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ?
উ- ব্যাসদেবের কথা বলা হয়েছে ।
[] এই পত্র কবিতার উপাদান মহাভারতের কোন পর্বে আছে ?
উ- অশ্বমেধ পর্বে [১৪তম সর্গ]।
[] জনা তাঁর স্বামীকে অভিশাপ দিয়েছে কেন ?
উ- জনার স্বামী পুত্রহন্তাকে মিত্র করেছেন বলে।
[] নীলধ্বজ নর-নারায়ণ জ্ঞানে কাকে পুজো করছেন ?
উ- অর্জুনকে।
[] ‘ছদ্মবেশে লক্ষরাজে ছলিল দুর্মতি’ – কে কার স্বয়ম্বরে ছলনা করেছিল ?
উ- অর্জুন দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভায় ছলনা করেছিল।
[] কবিতায় কাকে 'চন্ডাল' ও কাকে 'ব্রাহ্মণ' বলা হয়েছে ?
উ- অর্জুনকে চন্ডাল এবং নীলধ্বজকে ব্রাহ্মণ বলে উল্লেখ করেছেন জনা।
[] কর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে বিফল হলেন কিভাবে ?
উ- কৃষ্ণের কৌশলে।
[] পার্থ খান্ডব দহনে সফল হয়েছিলেন কেন ?
উ- কৃষ্ণের সহায়তায়।
[] পিতামহ ভীষ্মের মৃত্যু হয়েছিল কেন ?
উ- শিখন্ডীর সাহায্যে পার্থ ভীষ্মকে বধ করেছিলেন।
[] ‘এ জনাকীর্ণ ভবস্থল আজি বিজন জনার পক্ষে’ – কারণ কী ?
উ- কারণ জনার একমাত্র পুত্রের মৃত্যু হয়েছে।
[] এই কবিতায় তথা কাব্যে কোন বিদেশি কবির কাব্যের ছায়া আছে ?
উ- রোমক কবি ওভিদ এবং তাঁর কাব্য ‘হিরোয়িক এপিসল’ [Heroic Epistle]।
[] আলোচ্য পত্র-কবিতার উৎস কী ?
উ- বীরাঙ্গনা কাব্য। ১৮৬২ সাল।
[] বীরাঙ্গনা কী ধরনের কাব্য ?
উ- পত্রকাব্য।
[] জনার অভিশাপ কার বিরুদ্ধে ?
উ- পার্থের বিরুদ্ধে।
[] ফাল্গুনী কে ?
উ- পার্থ অর্থাৎ অর্জুন।
[] ‘মহেষ্বাস’ কথার অর্থ কী ?
উ- মহা ধনুর্ধর।
[] ইন্দিরা কে ?
উ- লক্ষ্মী।
[] কুরঙ্গী –এর অর্থ কী ?
উ- হরিণ।
[] ‘যুঝিতে’ পদের অর্থ কী ?
উ- যুদ্ধ করতে।
[] কৃতান্ত নগর বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
উ- যমপুরীকে বুঝিয়েছেন।
[] পুত্রহা পদের অর্থ লেখ।
উ- পুত্রহন্তা।
[] প্রবীর কোন স্থানের যুবরাজ ছিলেন?
উ- মাহেশ্বরী পুরীর।
[] হৃষীকেশ' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উ- কৃষ্ণকে।
[] ‘নিবাইতে এ শোকাগ্নি ফাল্গুনীর লোহে’ – লোহে শব্দের অর্থ লেখ।
উ- রক্ত।
[] ‘নিবাইতে এ শোকাগ্নি ফাল্গুনীর লোহে’ – লোহে শব্দের অর্থ লেখ।
উ- রক্ত।
[] 'টুট কিরীটির গর্ব আজি রণস্থলে'--একথার অর্থ কী?
উ- যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনের গর্ব নাশ করা।
[] 'অন্যায় সমরে মূঢ় নাশিল বালকে'--এখানে 'মূঢ়' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উ- তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনকে ।
[] 'কি কাজ বিলাপে প্রভু'--প্রভু বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উ- মাহেশ্বরী পুরীর রাজা নীলধ্বজকে।
[] ‘শাশুড়ির যোগ্য বধূ’ – শাশুড়ি ও বধূ কারা ?
উ- শাশুড়ি হলেন কুন্তি এবং বধূ হলেন পান্ডবদের স্ত্রী দ্রৌপদী।
[] কবিতায় 'কুলাচার্য্য' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ?
উ- ব্যাসদেবের কথা বলা হয়েছে ।
[] 'গর্ভে তার কি হে জনমিল'--কে কার গর্ভে জন্ম নিল?
উ- হৃষীকেশ অর্থাৎ বিষ্ণু, কুন্তীর গর্ভে জন্ম নিল।
[] ভীষ্মের প্রকৃত নাম কী ?
উ- দেবব্রত।
[] জনা কোথায় প্রাণ বিসর্জনের কথা বলেছেন ?
উ- জাহ্নবীর জলে।
[] 'পুত্রহা রিপু' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ?
উ- অর্জুনকে।
[] স্বৈরিণী কাকে বলা হয়েছে ?
উ- কুন্তীকে।
[] নীলধ্বজ কোথাকার রাজা ?
উ- মাহেশ্বরী পুরীর।
[] ‘কেমনে এ অপমান সব ধৈর্য ধরি’ – এখানে কোন অপমানের কথা বলা হয়েছে ?
উ- ‘নীলধ্বজের প্রতি জনা’ কবিতায় উক্তিটি জনার।
একমাত্র পুত্র প্রবীর অর্জুনের সাথে অন্যায় যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ জনার স্বামী নীলধ্বজ অর্জুনের সঙ্গে মিত্রতা করেছেন। এই বিষয়কেই অপমানজনক বলা হয়েছে।
[] ‘নিবাইতে এ শোকাগ্নি ফাল্গুনীর লোহে’ – তাৎপর্য লেখ।
উ- এখানে বক্তা জনা পুত্রহন্তা অর্জুনের মৃত্যু চান। প্রবল প্রতিহিংসায় স্বামী নীলধ্বজকে যুদ্ধযাত্রায় অংশগ্রহণের কথা শুনিয়েছেন। তিনি ‘ফাল্গুনীর লোহে’ অর্থাৎ অর্জুনের রক্তে তাঁর শোকাগ্নি নির্বাপিত করার কথা এই অংশে প্রকাশ পেয়েছে।
[] ‘টুট কিরীটির গর্ব আজি রণস্থলে’ – বক্তা এখানে কী বোঝাতে চেয়েছেন ?
উ- পুত্রের হত্যাকারী অর্জুনকে যথোচিত শাস্তি প্রদানের ইচ্ছায় স্বামীকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য উদ্দীপ্ত করেছিল জনা। মনের তীব্র ক্রোধে জনা কিরীটি অর্থাৎ অর্জুনের গর্ব নাশ করতে চেয়েছিলেন।
[] ‘অন্যায় সমরে মূঢ় নাশিল বালকে’ – অন্যায় সমরের পরিচয় দাও।
উ- অশ্বমেধের ঘোড়া নিয়ে অর্জুন মাহেশ্বরী পুরীতে প্রবেশ করলে রাজপুত্র প্রবীর অশ্বমেধের অশ্ব বাধা দেয়। তখন যুবরাজ প্রবীরের সঙ্গে পার্থের যুদ্ধের সূচনা হয়। কোনোভাবে অর্জুন প্রবীরকে পরাজিত করতে পারছিলেন না। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের ছলনায় প্রবীর মাতৃনাম করতে ভুলে গেলে সে শক্তিহীন হয়ে পড়ে এবং সেই সুযোগে ‘মূঢ়’ অর্থাৎ অর্জুন তাকে বধ করে। এই যুদ্ধকেই অন্যায় সমর বলা হয়েছে।
[] ‘ভুলিব এ জ্বালা, এ বিষম জ্বালা’ – বক্তা কিভাবে জ্বালা ভুলতে চেয়েছেন ?
উ- এখানে বক্তা হলেন জনা।
তিনি স্বামি নীলধ্বজকে অনুরোধ করেছেন, তিনি যেন রণভূমিতে অর্জুনকে যথোচিত শিক্ষা দেন। যেভাবে অন্যায় সমরে প্রবীরকে অর্জুন নিধন করেছিলেন, সেইভাবে তাঁর স্বামী অর্জুনকে প্রতিদান ফিরিয়ে দেন। এইভাবে জনার প্রতিহিংসার আগুন নির্বাপিত হবে।
[] কুন্তীকে স্বৈরিণী বলার কারণ লেখ।
উ- কুন্তী হলেন পান্ডবদের জননী, ভোজরাজার কন্যা এবং বসুদেবের ভগ্নী। মহর্ষি দুর্বাসাকে পরিচর্যায় তুষ্ট করে কুন্তি যে অমোঘ মন্ত্র শিখেছিলেন, সেই মন্ত্রের শক্তিতে একে একে একাধিক দেবতাকে স্বামীরূপে আহ্বান করেন। তাই তাকে স্বৈরিণী বলা হয়েছে।
[] ‘সত্যবতী সূত ব্যাস বিখ্যাত জগতে’ – প্রসঙ্গ উল্লেখ কর।
উ- পুত্রের হত্যাকারী অর্জুনের প্রতি স্বামীর আচরণ দেখে বিস্মিত হয়েছিল জনা। সেই প্রসঙ্গে বলা হয়েছে কটাক্ষ করেন সে ব্যাসের পিতা ব্রাহ্মণ হলেও জননী ছিলেন ধীবর কন্যা। অর্থাৎ তার পুত্র হয়ে জগতে বিখ্যাত হয়েছেন—এ নিয়ে জনার ব্যঙ্গ ফুটে উঠেছে এই উক্তির মধ্যে দিয়ে।
[] 'দুঃখের কথা হায় কব কারে'--বক্তা কেন দুঃখ প্রকাশ করেছেন?
[] ভীষ্মের প্রকৃত নাম কী ?
উ- দেবব্রত।
[] জনা কোথায় প্রাণ বিসর্জনের কথা বলেছেন ?
উ- জাহ্নবীর জলে।
[] 'পুত্রহা রিপু' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ?
উ- অর্জুনকে।
[] স্বৈরিণী কাকে বলা হয়েছে ?
উ- কুন্তীকে।
[] নীলধ্বজ কোথাকার রাজা ?
উ- মাহেশ্বরী পুরীর।
[] কবিতায় 'কু-কুলে' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উ- কুরু বংশে। ব্যঙ্গে মন্দ বংশে।
[] কবিতায় কোন্ কাজটি বিধাতার বিধি?
উ- জন্ম-মৃত্যু।
[] ব্যাসদেবের পিতা-মাতা কারা?
উ- পিতা- পরাশর মুনি এবং মাতা- সত্যবতী।
[] 'তূণ' শব্দের অর্থ কী?
উ- শর রাখার আধার।
[] কবিতায় দ্বৈপায়ন কে?
উ- ব্যাসদেবের প্রকৃত নাম।
[] কার সাহায্যে অর্জুন ভীষ্মকে নিহত করেছিলেন?
উ- শিখণ্ডীর সহায়তায়।
[] ঋষি ব্যাসের মাতা কোন্ জাতির ছিলেন?
উ- ধীবর
[] দ্রৌপদী কোন্ অঞ্চলের কন্যা ছিলেন?
উ- পাঞ্চাল রাজ্যের, তাই তার অন্য নাম পাঞ্চালী।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
[] ‘কেমনে এ অপমান সব ধৈর্য ধরি’ – এখানে কোন অপমানের কথা বলা হয়েছে ?
উ- ‘নীলধ্বজের প্রতি জনা’ কবিতায় উক্তিটি জনার।
একমাত্র পুত্র প্রবীর অর্জুনের সাথে অন্যায় যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ জনার স্বামী নীলধ্বজ অর্জুনের সঙ্গে মিত্রতা করেছেন। এই বিষয়কেই অপমানজনক বলা হয়েছে।
[] ‘নিবাইতে এ শোকাগ্নি ফাল্গুনীর লোহে’ – তাৎপর্য লেখ।
উ- এখানে বক্তা জনা পুত্রহন্তা অর্জুনের মৃত্যু চান। প্রবল প্রতিহিংসায় স্বামী নীলধ্বজকে যুদ্ধযাত্রায় অংশগ্রহণের কথা শুনিয়েছেন। তিনি ‘ফাল্গুনীর লোহে’ অর্থাৎ অর্জুনের রক্তে তাঁর শোকাগ্নি নির্বাপিত করার কথা এই অংশে প্রকাশ পেয়েছে।
[] ‘টুট কিরীটির গর্ব আজি রণস্থলে’ – বক্তা এখানে কী বোঝাতে চেয়েছেন ?
উ- পুত্রের হত্যাকারী অর্জুনকে যথোচিত শাস্তি প্রদানের ইচ্ছায় স্বামীকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য উদ্দীপ্ত করেছিল জনা। মনের তীব্র ক্রোধে জনা কিরীটি অর্থাৎ অর্জুনের গর্ব নাশ করতে চেয়েছিলেন।
[] ‘অন্যায় সমরে মূঢ় নাশিল বালকে’ – অন্যায় সমরের পরিচয় দাও।
উ- অশ্বমেধের ঘোড়া নিয়ে অর্জুন মাহেশ্বরী পুরীতে প্রবেশ করলে রাজপুত্র প্রবীর অশ্বমেধের অশ্ব বাধা দেয়। তখন যুবরাজ প্রবীরের সঙ্গে পার্থের যুদ্ধের সূচনা হয়। কোনোভাবে অর্জুন প্রবীরকে পরাজিত করতে পারছিলেন না। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের ছলনায় প্রবীর মাতৃনাম করতে ভুলে গেলে সে শক্তিহীন হয়ে পড়ে এবং সেই সুযোগে ‘মূঢ়’ অর্থাৎ অর্জুন তাকে বধ করে। এই যুদ্ধকেই অন্যায় সমর বলা হয়েছে।
[] ‘ভুলিব এ জ্বালা, এ বিষম জ্বালা’ – বক্তা কিভাবে জ্বালা ভুলতে চেয়েছেন ?
উ- এখানে বক্তা হলেন জনা।
তিনি স্বামি নীলধ্বজকে অনুরোধ করেছেন, তিনি যেন রণভূমিতে অর্জুনকে যথোচিত শিক্ষা দেন। যেভাবে অন্যায় সমরে প্রবীরকে অর্জুন নিধন করেছিলেন, সেইভাবে তাঁর স্বামী অর্জুনকে প্রতিদান ফিরিয়ে দেন। এইভাবে জনার প্রতিহিংসার আগুন নির্বাপিত হবে।
[] কুন্তীকে স্বৈরিণী বলার কারণ লেখ।
উ- কুন্তী হলেন পান্ডবদের জননী, ভোজরাজার কন্যা এবং বসুদেবের ভগ্নী। মহর্ষি দুর্বাসাকে পরিচর্যায় তুষ্ট করে কুন্তি যে অমোঘ মন্ত্র শিখেছিলেন, সেই মন্ত্রের শক্তিতে একে একে একাধিক দেবতাকে স্বামীরূপে আহ্বান করেন। তাই তাকে স্বৈরিণী বলা হয়েছে।
[] ‘সত্যবতী সূত ব্যাস বিখ্যাত জগতে’ – প্রসঙ্গ উল্লেখ কর।
উ- পুত্রের হত্যাকারী অর্জুনের প্রতি স্বামীর আচরণ দেখে বিস্মিত হয়েছিল জনা। সেই প্রসঙ্গে বলা হয়েছে কটাক্ষ করেন সে ব্যাসের পিতা ব্রাহ্মণ হলেও জননী ছিলেন ধীবর কন্যা। অর্থাৎ তার পুত্র হয়ে জগতে বিখ্যাত হয়েছেন—এ নিয়ে জনার ব্যঙ্গ ফুটে উঠেছে এই উক্তির মধ্যে দিয়ে।
[] 'ভীরুতার সাধনা মানে কি বলবাহু'--জনা 'ভীরুতার সাধনা' বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উ--পুত্রহন্তা অর্জুনের বিরুদ্ধে রাজা নীলধ্বজের মনে প্রতিহিংসা জাগিয়ে তুলতে স্বামীকে জনা তিরস্কার করেছেন। জনার বক্তব্য হলো, অর্জুনের কাছে বশ্যতা স্বীকার করা হলো অসংগত ও কাপুরুষের মতো কাজ--যা ভীরুতার সাধনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
[] কোথায় কেন রণবাদ্য বাজছিল?
উ--পাণ্ডব যোদ্ধা অর্জুনের সমাদর করার জন্যে রাজা নীলধ্বজ রাজপুরে নৃত্যগীতের আয়োজন করেছেন। সেই বাদ্য শুনে জনা ভেবেছেন, যে যুদ্ধের প্রস্তুতিতে রণবাদ্য বাজছে।
[] 'প্রতিবিধিৎসিতে' শব্দের অর্থ কী? কে কাকে উদ্দেশ্য করে এই উক্তি করেছেন?
উ-- 'প্রতিবিধিৎসিতে' শব্দের অর্থ হলো--প্রতিবিধান করা।
জনা এই উক্তি করেছিলেন তাঁর স্বামী নীলধ্বজকে উদ্দেশ্য করে।
[] 'এই তো সাজে তোমারে'--বক্তা কে? বক্তার কাছে কী প্রকৃত কর্তব্য বলে মনে হয়েছে?
উ--পুত্রশোকে কাতর জনা এই উক্তিটি করেছেন।
রাজপুরীতে উৎসবের আয়োজন চলছে। তা জেনেও জনা স্বামীকে উত্তেজিত করবার জন্য নানাভাবে উৎসাহ দিয়েছেন। স্বামীকে জানিয়েছেন, যুদ্ধের সাজ এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়াই পুত্রহারা পিতার একমাত্র কর্তব্য।
[] 'বিধাতার এ বিধি জগতে'-- বিধি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উ-- 'বিধি' বলতে নিয়ম বা ব্যবস্থাকে বোঝায়। এখানে বিধাতাপুরুষের নিয়মেই তাদের পুত্র প্রবীরের মৃত্যু হয়েছে। জন্ম-মৃত্যু তো বিধাতার নিয়ন্ত্রণাধীন।
[] 'কি কাজ বিলাপে প্রভু'--কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করা হয়েছে?
উ-- অন্যায় সমরে পুত্র প্রবীরের মৃত্যু হয়েছে, অথচ স্বামী নীলধ্বজ নিশ্চুপ রয়েছেন। তাই জনা উৎসাহ দিয়ে জানাচ্ছেন, বিলাপের কোনো প্রয়োজন নেই, জন্ম-মৃত্যু তো বিধাতার অধীন। এখন তার উচিত যুদ্ধযাত্রা করে পার্থকে বধ করা।
[] 'তব সিংহাসনে বসিছে পুত্রহা রিপু'--পুত্রহা রিপু বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উ-- এখানে 'পুত্রহা রিপু' বলতে পুত্রের হত্যাকারী অর্জুনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
[] 'তব সিংহাসনে বসিছে পুত্রহা রিপু--মিত্রোত্তম এবে!'--বক্তার যে ক্ষোভ এখানে প্রকাশ পেয়েছে তা লেখ।
উ--উক্তিটির বক্তা হলেন মাহেশ্বরীপুরীর রানি জনা। রাজপুরে অর্জুনের সমাদর দেখে জনা বিস্মিত হয়েছেন। স্বামী নীলধ্বজের অবনত মস্তক দেখে জনা ক্ষোভে, দুঃখে, লজ্জায়-ঘৃণায় এই উক্তিটি করেছেন।
[] 'দুঃখের কথা হায় কব কারে'--বক্তা কেন দুঃখ প্রকাশ করেছেন?
উ-- পুত্রহন্তা পার্থ রাজ সিংহাসনে উপবিষ্ট রয়েছেন আর নীলধ্বজ তাকে তুষ্ট করতে ব্যস্ত। স্বামীর এই ভীতিবোধ দেখে জনা লজ্জিত হয়েছেন। পুত্রের হত্যাকারীকে যেভাবে স্বামী পদলেহন করছেন, তাতে তিনি বিস্মিত। এই কারণে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
[] হায়, পাগলিনী জনা'-- বক্তা কেন নিজেকে পাগলিনী বলেছেন?
উ--মাহেশ্বরী-পুরীর মহারানি জনা পুত্রশোকে কাতর হলেও স্বামীর কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। শত্রুকে সমাদর করছেন রাজা অথচ তার কর্তব্য যুদ্ধ করা। স্বামীর এ হেন আচরণে বিস্মিত একাকিনী পুত্রহারা মাতা নিজেকে পাগলিনী বলেছেন।
[] 'উত্তরিবে প্রতিধ্বনি'--কোন প্রশ্নের কোন প্রতিধ্বনি হবে?
উ--অভিমানে জনা যখন জাহ্নবীর জলে প্রাণ বিসর্জন দেবেন তখন স্বামী নীলধ্বজ অন্তপুরে স্ত্রীর খোঁজে যখন 'কোথা জনা?' বলে ডাকবেন তখন শূন্য মন্দিরে সেই কথাই প্রতিধ্বনিত হবে--'কোথা জনা?'।
[] 'জানি আমি কহে লোক'--অন্যেরা কী বলে? অথবা 'মিথ্যা কথা, নাথ!'--কোন কথা জনার মিথ্যা বলে মনে হয়েছে?
উ-- তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন হলেন রথিকুল-পতি অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা। অর্জুনের এই বীরত্ব সকলে জানে--এই কথাই জনার কাছে মিথ্যা বলে মনে হয়েছে।
[] 'ছদ্মবেশে লক্ষ রাজে ছলিল দুর্মতি'--কে কোথায় ছলনা করেছিল?
উ-- দ্রৌপদীর স্বয়ম্বরে ব্রাহ্মণবেশী অর্জুন লক্ষ্যভেদ করে দ্রৌপদীকে লাভ করেছিলেন। পার্থ এইভাবে অন্য রাজপুত্রদের ছলনা করেছিলেন।
[] 'সংহারিল মহাপাপী'--কে কাকে সংহার করেছিল?
উ--কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন ছলনার আশ্রয় নিয়ে পাণ্ডবদের পিতামহ ভীষ্মকে সংহার করেছিলেন। ছলনার আশ্রয় নেওয়ার জন্যে জনা অর্জুনকে 'মহাপাপী' বলে সম্বোধন করেছেন।
[] 'কি কুছলে নরাধম বধিল তাঁহারে'--এখানে কোন ছলনার কথা বলা হয়েছে?
উ-- কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে গুরু দ্রোণাচার্যকে ছলনার আশ্রয়ে বধ করা হয়েছিল। দোণাচার্যের পুত্র অশ্বত্থামা হত হয়েছে--এই রটনা শুনে দ্রোণাচার্য অস্ত্র ত্যাগ করেন। এবং পার্থ তাকে বধ করেন।
[] 'দেশ-দেশান্তরে জনরব লবে/এ কাহিনি'-- কোন ঘটনা দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়বে?
উ-- রাজা নীলধ্বজ নিজ পুত্রের হত্যাকারী বীর অর্জুনকে তোষামোদ করে রাজসভায় এনে সিংহাসনে বসিয়েছেন। তার আনন্দদানের ব্যবস্থা করেছেন। যুদ্ধসাজে সজ্জিত না হয়ে অর্জুনকে মিত্র বানিয়েছেন। ক্ষত্রিয়কুলের এই লজ্জার কাহিনি দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়বে।
[] 'কি লজ্জা দুঃখের কথা'--কোন বিষয় জনার কাছে লজ্জাজনক বিষয় বলে মনে হয়েছে?
উ--পুত্রশোকে কাতর জনা দেখছে যে, রাজসভায় পুত্রের হত্যাকারীকে অতিথিরূপে বরণ করছেন তাঁর স্বামী নীলধ্বজ। নৃত্য-গীতে তাঁকে আনন্দ দেওয়া হচ্ছে। পুত্রহারা পিতার এমন আচরণ বীরাঙ্গনা জনার কাছে লজ্জাজনক বলে মনে হয়েছে।
[] 'বসিছে পুত্রহা রিপু'--রিপু বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? তিনি কোথায় বসেছেন?
উ--'রিপু' বলতে এখানে অর্জুনকে বোঝানো হয়েছে।
নীলধ্বজ তাঁকে সমাদরে সিংহাসনে বসিয়েছেন।
[] 'ক্ষত্রিয়ধর্ম এই কি নৃমণি?'--ক্ষত্রিয় ধর্ম বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উ--একজন ক্ষত্রিয়ের প্রকৃত ধর্ম হল যুদ্ধ করা। অন্যায় যুদ্ধে হত পুত্রের প্রতিশোধ নিতে একজন ক্ষত্রিয়-রাজ অবশ্যই যুদ্ধযাত্রা করবেন--কারণ এটাই তাঁর প্রকৃত ধর্ম। জনা তাঁর স্বামীকে সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন।
[] 'গর্ভে তাঁর কিহে জনমিলা'--কে কার গর্ভে জন্ম নিল?
উ--কুন্তীর গর্ভে বিষ্ণু অর্জুন রূপে জন্ম নিল।
[] 'শাশড়ির যোগ্য বধূ'--জনার এমন মন্তব্যের কারণ কী?
উ--এখানে 'শাশড়ি' হলেন কুন্তী এবং বধূ হলেন দ্রৌপদী।
দ্রৌপদী ছিলেন পঞ্চ পাণ্ডবদের স্ত্রী। অন্যদিকে কুন্তীও বিভিন্ন দেবতাকে আহ্বান করে পুত্র জন্ম দিয়েছেন। জনা ইঙ্গিত করেছেন, দু-জনেরই একের অধিক স্বামী আছে। তাই তিনি এমন কথা বলেছেন।
[] 'মরি মহাকর্ণ যশাঃ'--কীভাবে কর্ণ মারা যান?
উ--কুরুক্ষেত্রের মহাযুদ্ধে যখন কর্ণের রথের চাকা বসুন্ধরা গ্রাস করে এবং ব্রহ্মশাপে কর্ণ বিকল হয়ে যান, তখন অর্জুন তাঁকে হত্যা করেছেন।
[] 'দুঃখের কথা হায় কব কারে'--কোন দুঃখের কথা বলা হয়েছে?
উ--রাজা নীলধ্বজ পুত্রের হত্যাকারী পার্থকে সমাদরে অতিথি রূপে সিংহাসনে বসিয়েছেন। এই ঘটনা জনাকে দুঃখ দিয়েছে।
[] মহারথী প্রথা কি হে এই, মহারথি?'--কোন কাজ মহারথী প্রথার বিরোধী?
উ--মহাযশস্বী কর্ণের রথের চাকা যখন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে বসুন্ধরা গ্রাস করেছিল তখন নিরস্ত্র কর্ণকে অর্জুন বধ করেন। এই অন্যায় যুদ্ধকেই জনা মহারথী প্রথার বিরোধী বলেছেন।
[] 'ব্যাস বিখ্যাত জগতে'--ব্যাস বিখ্যাত কেন?
উ-- কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেব হলেন মহাভারতের রচয়িতা। তিনি বেদ বিভাজন করেছিলেন। এ-কারণে ব্যাসদেব বিখ্যাত।
-------------------------------------------
--------------------------------------------
--------------------
--------------------
Thanku😇✌🏻️
Khub akta valo noy
"হায় পাগলিনী জনা" - কেন বলেছেন?
উত্তর টা কি হবে?
Please ektu bole deben....🙏🙏🙏
মোটামুটি
মোটামুটি ভালোই... একটু help হলো আর কি
মোটামুটি 🙄
Enough it was.. Eternally thank you.. 😇🙏🏻