শিকার কবিতা প্রশ্ন MCQ SAQ, শিকার কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, 40+ MCQ SAQ
শিকার কবিতা প্রশ্ন MCQ SAQ : শিক্ষার্থীরা জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতার উৎস হলো “বনলতা সেন” কাব্য। এই কব্যের একটি উল্লেখযোগ্য কবিতা হলো ‘শিকার’। এই শিকার কবিতার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন অর্থাৎ MCQ এবং SAQ এখানে দিলাম। নিশ্চয়ই প্রত্যেকের ভালো লাগবে।
শিকার কবিতা প্রশ্ন MCQ SAQ, জীবনানন্দ দাশের শিকার কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, 40+ MCQ SAQ
শিকার কবিতার বিকল্পধর্মী প্রশ্ন এবং সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দু’ভাগে সন্নিবেশিত হলো
শিকার কবিতা প্রশ্ন MCQ
- আকাশের রং ঘাসফড়িঙের দেহের মতো। – (ক) কোমল সবুজ, (খ) কোমল নীলাভ, (গ) নীল সবুজ, (ঘ) কোমল নীল।
- “চারি দিকে পেয়ারা ও নোনার গাছ” — (ক) গোধুলিমদির মেয়েটির মতো, (খ) মচকাফুলের পাপড়ির মতো, (গ) ভোরের রৌদ্রের মতো, (ঘ) টিয়ার পালকের মতো।
- ‘শিকার’ কবিতায় বর্ণিত মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে মুক্তা রেখেছিল — (ক) কবির জামার পকেটে, (খ) নীল মদের গেলাসে, (গ) কবির লোহার সিন্দুকে, (ঘ) কবির হৃদয় মন্দিরে।
- “আকাশে জ্বলছে এখনও।” — আকাশে জ্বলছে — (ক) চন্দ্র, (খ) সূর্য, (গ) তারা, (ঘ) নক্ষত্র।
- “হিমের রাতে শরীর ‘উম্’ রাখবার জন্য দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে” — (ক) গান করেছে, (খ) নাচ করেছে, (গ) খেলায় মেতেছে, (ঘ) আগুন জ্বেলেছে।
- “দুমড়ে এখনও আগুন জ্বলছে তাদের;” – যাতে — (ক) শুকনো ঘাসে, (খ) শুকনো অশ্বথপাতা, (গ) শুকনো সুন্দরী গাছে, (ঘ) শুকনো অর্জুনের গাছে।
- “দেশোয়ালিরা / সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে-” — (ক) শুকনো ঘাসে, (খ) শুকনো অশ্বত্থপাতায়, (গ) অর্জুন পাতায়, (ঘ) সুন্দরী পাতায়।
- “সূর্যের আলোয় তার রং কুঙ্কুমের মতো নেই আর।” – কীসের রং? — (ক) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের, (খ) তারার – আলোর, (গ) মচকাফুলের, (ঘ) হরিণের মাংস রাঁধবার আগুনের।
- “সূর্যের আলোয় তার রং কুঙ্কুমের মতো নেই আর;” – তার রং কীসের মতো হয়ে গেছে? — (ক) শুকনো পাতার ধূসর ইচ্ছার মতো, (খ) কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ, (গ) রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো, (ঘ) নীল আকাশের মরা চাঁদের আলোর মতো।
- “রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো।” — (ক) কবির হৃদয়ের রং, (খ) আকাশের রং, (গ) সূর্যের আলোর রং, (ঘ) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রং।
- “ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে।” — (ক) বন ও আকাশ, (খ) আকাশ ও ঘাট, (গ) মাঠ ও বন, (ঘ) সুন্দরীর বন ও অর্জুনের বন।
- “ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল।” — (ক) শিকারিরা, (খ) দেশোয়ালিরা, (গ) গোধূলিমদির মেয়েটি, (ঘ) বাদামি হরিণ।
- সবুজ সুগন্ধি ঘাসকে কবি তুলনা করেছিলেন — (ক) নতুন ধান, (খ) শরতের মেঘ, (গ) রূপসি মেয়ে, (ঘ) বাতাবি লেবু-এর সঙ্গে।
- “এই নীল আকাশের নীচে” – নীল আকাশের নীচে হরিণটি কীসের মতো জেগে ওঠে? — (ক) তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ের মতো, (খ) সোনার ফলার মতো, (গ) সোনার বর্শার মতো, (ঘ) বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার মতো।
- “একটা অদ্ভুত শব্দ।” – শব্দটি হল — (ক) হরিণের জল খাওয়ার শব্দ, (খ) হরিণের জলে নামার শব্দ, (গ) হরিণের স্নানের শব্দ, (ঘ) হরিণকে গুলিবিদ্ধ করার শব্দ।
- “নদীর জল—————পাপড়ির মতো লাল।” — (ক) মচকাফুলের, (খ) গোলাপফুলের, (গ) জবাফুলের, (ঘ) মোরগফুলের।
- “উষ্ণ লাল” রংটি ছিল — (ক) ভোরের সূর্যের, (খ) অস্তগামী সূর্যের, (গ) হরিণের মাংসের, (ঘ) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের।
- “নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়” কী গল্প হত? — (ক) পুরানো শিশিরভেজা গল্প, (খ) পুরানো রৌদ্রভেজা গল্প, (গ) পুরানো বৃষ্টিভেজা গল্প, (ঘ) পুরানো রূপকথার গল্প।
- ‘শিকার’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত, তা হল — (ক) ‘বনলতা সেন‘, (খ) ‘ঝরাপালক’, (গ) ‘রূপসী বাংলা’, (ঘ) ‘ধূসর পান্ডুলিপি’।
শিকার কবিতা প্রশ্ন SAQ (২০টি শব্দে)
- ‘শিকার’ কবিতায় পেয়ারা ও নোনার গাছকে কবির কেমন মনে হয়েছে?
- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ভোরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পরিচয় দেওয়ার সময় কবি বাংলা প্রকৃতির পেয়ারা ও নোনা গাছের সঙ্গে টিয়ার পালকের সবুজ রঙের তুলনা করেছেন।
- “একটি তারা এখন আকাশে রয়েছে।” — তারাটিকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
- ভোরের আকাশে জ্বলজ্বল করতে থাকা তারাটির সঙ্গে কবি পাড়া গাঁয়ের বাসর ঘরের গোধূলি মদির লাজুক মেয়েটি কিংবা মিশরের মানুষী নীলমদের গেলাসে রাখা মুক্তো সঙ্গে তুলনা করেছেন।
- “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও।” — তারাটিকে দেখে কবির কী কী মনে হয়েছে?
- ভোরের আকাশে জ্বলজ্বল করতে থাকা তারাটির প্রসঙ্গে কবির মনে পড়ে পাড়াগাঁয়ের বাসর ঘরের গোধূলি মদির লাজুক মেয়েটির কথা কিংবা মিশরের মানুষী নীলমদের গেলাসে যেমন মুক্তো রেখেছিল; তার কথা।
- “মোরগফুলের মতো লাল আগুন;” — এখানে কোন্ আগুনের কথা বলা হয়েছে?
- শীতের রাতে দেশোয়ালিরা শরীর গরম (উম্) রাখতে শুকনো অশ্বত্থ পাতা দিয়ে যে আগুন জ্বেলেছিল, সেই আগুন ছিল মোরগফুলের মতো লাল।
- “মোরগফুলের মতো লাল আগুন;” — কখন, কেন এই আগুন দেশোয়ালিরা জ্বালিয়েছিল?
- শীতের রাতে দেশোয়ালিরা শরীর গরম (উম্) রাখতে শুকনো অশ্বত্থ পাতা দিয়ে যে আগুন জ্বেলেছিল, সেই আগুন ছিল মোরগফুলের মতো লাল।
- “রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ উচ্ছার মতো।” — উপমাটি কোন্ প্রসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে?
- শীতের রাতে দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রঙ ভোরের সূর্যের আলোয় বিবর্ণ হয়ে গেছে। সেই প্রসঙ্গে কবি এই উপমাটি ব্যবহার করেছেন।
- “মেহগনির মতো অন্ধকারে” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
- নক্ষত্রহীন, নিশ্ছিদ্র গাঢ় অন্ধকার রাতে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ছুটে বেরিয়েছে হরিণটি। সেই রাতের গাঢ়ত্ব বোঝাতে মেহগনির মতো অন্ধকারের অবতারণা ঘটিয়েছেন কবি।
- “সুন্দর বাদামি হরিণ” চিতাবাঘিনীর হাত থেকে বাঁচতে কোন্ কোন্ বনে ঘুরেছিল?
- সুন্দর বাদামি হরিণটি চিতাবাঘিনীর হাত থেকে বাঁচতে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে বেরিয়েছে।
- “এসেছে সে ভোরোর আলোয় নেমে;” — কীভাবে সে নেমে এল?
- নক্ষত্রহীন রাতে চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে ভোরের স্পষ্টতায় নেমে এসেছে হরিণটি। তার সমস্ত ভয় কেটে গিয়েছে। ভোরের আলোয় সমস্ত ভয়াবহতা দূরীভূত হয়েছে।
- “কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে;” —এমনভাবে খাওয়ার কারণ কী?
- চিতাবাঘিনীর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে হরিণটি যেন নবজীবন লাভ করেছে। বন্য প্রকৃতিকে সগর্বে তা জানান দিতে এবং পরম নিশ্চিন্ত মনে কচি কচি সবুজ ঘাস ছিঁড়ে খাচ্ছিল।
- “নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল” — ‘সে’ নদীতে কেন নামল?
- নদীর তীক্ষ্ণ জলে নেমে ছিল হরিণটি, কারণ রাতের ঘুমহীন ক্লান্তিকে দূর করতে, মনকে সতেজতা দান করতে জলে স্নানের প্রয়োজন ছিল।
- “অন্ধকারের হিম কুঞ্চিত জরায়ু ছিঁড়ে” — কে বেরিয়ে আসে?
- জরায়ুর হিম কুঞ্চিত অন্ধকার থেকে সন্তান যেমন ভূমিষ্ঠ হয়ে উল্লসিত হয়; ঠিক তেমনই হরিণটিও যেন রাতের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে।
- “সে নামল” — কে, কোথায় নেমেছিল?
- ঘুমহীন, ক্লান্ত সুন্দর বাদামি হরিণটি নদীর তীক্ষ্ণ শীতল জলে নেমে ছিল।
- “একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস” — এই উল্লাস পাওয়ার জন্য কে, কী করেছিল?
- বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য হরিণটি নদীর শীতল জলে নেমে চনমনে হয়ে উঠতে চেয়েছিল।
- “একটা অদ্ভুত শব্দ” — শব্দটি অদ্ভুত কেন?
- বন্দুকের গুলির শব্দকে অদ্ভূত বলা হয়েছে; কারণ বন্যপ্রকৃতির স্বাভাবিকতা এই শব্দে নেই। বরং এই শব্দের মধ্যে দিয়েই নিসর্গ প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রাণ নিহত হয়েছে।
- “সোনার বর্শার মতো জেগে উঠে” — হরিণটি কী করতে চেয়েছিল?
- সোনার বর্শার মতো জেগে উঠে হরিণটি সাহসে সৌন্দর্যে হরিণীদের চমকে দিতে চেয়েছে।
- “একটা অদ্ভুত শব্দ।” — কীসের শব্দের কথা বলা হয়েছে?
- শিকারীদের বন্দুকের গুলির শব্দকে এখানে অদ্ভূত বলা হয়েছে।
- নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল হওয়ার কারণ কী?
- বন্দুকের গুলিতে নিহত হয়েছে হরিণ। এবং সেই হরিণের রক্তে নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল হয়ে উঠেছিল।
- একটা অদ্ভুত শব্দের পর নদীর জলের রং কেমন হয়ে ওঠে?
- বন্দুকের গুলিতে নিহত হয়েছে হরিণ। এবং সেই হরিণের রক্তে নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল হয়ে উঠেছিল।
- “নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়” — কারা বসে রয়েছে?
- শিশিরভেজা ঘাসের বিছানায় শহুরে আপাত সভ্য শিকারির দল বসে রয়েছে।
- “টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা;” — উদ্ধৃতিটির ব্যঞ্জনার্থ কী?
- হরিণটিকে শিকার করতে আসা আপাত সভ্য সেইসব শহুরে মানুষদের কথা বলা হয়েছে যারা প্রকৃতির স্বাভাবিকতাকে প্রতিনিয়ত হত্যা করে চলেছে।
দ্বাদশ শ্রেণির বিভিন্ন বিষয় থেকে আলোচনা
- কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্প থেকে প্রশ্ন
- ভাত গল্প থেকে প্রশ্ন
- ভারতবর্ষ গল্প থেকে প্রশ্ন
- রূপ নারানের কূলে কবিতা থেকে প্রশ্ন
- শিকার কবিতা থেকে প্রশ্ন
- মহুয়ার দেশ কবিতা থেকে প্রশ্ন
- আমি দেখি কবিতা থেকে প্রশ্ন
- ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতা থেকে প্রশ্ন
- বিভাব নাটক থেকে প্রশ্ন
- নানা রঙের দিন নাটক থেকে প্রশ্ন
- অলৌকিক গল্প থেকে প্রশ্ন
- পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতা থেকে প্রশ্ন
- বাংলা গানের ধারা থেকে প্রশ্ন
- বাংলা চিত্রকলার ধারা থেকে প্রশ্ন
- বাংলা চলচ্চিত্রের ধারা থেকে প্রশ্ন
- বাংলা ক্রীড়াসংস্কৃতির চর্চা থেকে প্রশ্ন
- বাংলা বিজ্ঞানচর্চার ধারা থেকে প্রশ্ন
- ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা থেকে প্রশ্ন
- ধ্বনিতত্ত্ব থেকে প্রশ্ন
- রূপতত্ত্ব থেকে প্রশ্ন
- বাক্যতত্ত্ব থেকে প্রশ্ন
- শব্দার্থতত্ত্ব থেকে প্রশ্ন